বাজিস-৪ : নীলফামারীতে উন্নয়ন কনসার্টে দর্শক শ্রোতার ঢল

252

বাজিস-৪
নীলফামারী- উন্নয়ন কনসার্ট
নীলফামারীতে উন্নয়ন কনসার্টে দর্শক শ্রোতার ঢল
নীলফামারী, ২ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : অনুষ্ঠানস্থল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। শিল্পীদের গানে গানে উৎসবমুখর পরিবেশ। সরাসরি দেশ বরেণ্য শিল্পীদের গান উপভোগ করলেন নীলফামারীর অন্তত ৫০ সহ¯্রাধিক মানুষ।
গতকাল সোসমবার সন্ধ্যার ওই উন্নয়ন কনসার্টে নীলফামারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দর্শক শ্রোতার ঢল নামতে শুরু করে বিকেল ৫টার পর থেকে। অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে গান করে স্থানীয় শিল্পীরা। সন্ধ্যা নামার পর একে একে গানের ডালি নিয়ে আসতে শুরু করেন দেশ বরেণ্য শিল্পীরা। গানের ফাঁকে ফাঁকে প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন জনকল্যাণ ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র। এছাড়াও দর্শকদের প্রদর্শিত হয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০টি উদ্যোগের ভিডিও তথ্যচিত্র। এভাবে অনুষ্ঠান চলে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য শিল্পীদের মধ্যে সংগীত পরিবেশন করেন দেশ বরেণ্য ফোক সম্রাট মমতাজ বেগম, পিন্টু ঘোষ, পারভেজ, রিঙ্কু, বাপ্পা মজুমদারের নেতৃত্বে ব্যা-দল দলছুট, চিরকুট, জলের গান, লালন, ভাইকিংস ও শূন্যের মতো ব্যা- দলগুলো।
দীর্ঘ সময়, অনেকটাই ধৈর্য্যের পরীক্ষা দর্শকদের। কিন্তু না, শিল্পীর সুরের ছোয়ায় সে ধৈর্য্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে দর্শক শ্রোতা। সকলের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে শিল্পীর সুর, সবার আকর্ষণ ছিল মঞ্চের দিকেই। মুগ্ধ দর্শক গানে অভিভূত, হাত নাড়িয়ে, আবার কখনো দু’হাতে তালি বাজিয়ে অভিনন্দন জানান শিল্পীদের। ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানের ওই কনসার্টটিকে প্রতিটি ক্ষণ উপভোগ করলেন সকলে।
রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে মঞ্চে আসেন ফোক স¤্রাট মমতাজ বেগম। তিনি গাইলেন ‘বটের ছায়া ঘরের দাওয়া সেই সে পুকুর পাড়, ভালো থাকিস ভুলে থাকিস এই আছে বলার।’ নূতন ঘরে যায় আয় দেইখা যা ! নূতন ঘরে যায় আয় দেইখা যা ! মায়াবতি কণ্যারে, শালুক ফোটা ফুল রে, রসগোল্লার মতো মিষ্টি কন্যার হাসি রে। একে একে গাইলেন আরো অনেক গান। দর্শকের উপস্থিতে মুগ্ধ হয়ে মাতিয়ে সুরে সুরে মাতিয়ে তুলেন অনুষ্ঠানস্থল।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলা সহযোগিতায় আয়োজিত কনসার্টের প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুশিউর রহমান, জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান।
অনুষ্ঠানে রাত আটটার দিকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের নিজেদের দিকে তাকাই, আমাদের শহরের দিকে তাকাই, গ্রামের দিকে তাকাই, আমাদের দেশের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো ১০ বছর আগের বাংলাদেশ এবং আজকের বাংলাদেশের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ।
নীলফামারীর বিভিন্ন কলকারখানা, রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য চিকিৎসা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, নীলফামারী ছিল মঙ্গাপীড়িত এলাকা। এর আগে এখানে না খেয়ে মানুষ মারা যেত। বর্তমানে নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে ৩২ হাজার মানুষ কাজ করছে। আগামী দেড় থেকে দুই বছরে ৫০ হাজার মানুষ কাজ করবে।
জেলার উন্নয়নে এখন সামান্য কাজ বাকি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি স্থলবন্দর বাস্তবায়ন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, আইটি পার্ক নির্মাণ, অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে তোলা, রাস্তাঘাটের সম্প্রসারণ আর মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। যা সরকারের পরিকল্পনায় আছে।’
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১১২০/নূসী