বাজিস-১ : পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির উন্নয়নে দরকার সঠিক পরিকল্পনা

247

বাজিস-১
রাঙ্গামাটি-পর্যটন শহর
পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির উন্নয়নে দরকার সঠিক পরিকল্পনা
রাঙ্গামাটি, ১ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : পাহাড় লেক নদী বেস্টিত পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি, পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভবনা থাকলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এখনো পর্যটন শিল্প হিসেবে রাঙামাটি এগোতে পারছে না। অপর দুই পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পর্যটন শিল্পে অনেকটা এগিয়ে গেছে। ২০১৫ সনে পর্যটন বিভাগ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত হওয়ার পর পর্যটন উন্নয়নে ১২শ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করলেও সেটি এখনো অনুমোদিত হয়নি।
পাহাড় লেক নদী বেস্টিত পর্যটন শহর রাঙামাটি, পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভবনা থাকলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এখনো পর্যটন শিল্প হিসেবে রাঙামাটি এগোতে পারছে না। তবুও প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পর্যটক যান্ত্রিক শহরের একটু ক্লান্তি দূর করতে ছুটে আসেন রাঙামাটি। প্রতি সপ্তাহের সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের উপচে ভিড় থাকে। সাপ্তাহিক ছুটি কাজে লাগিয়ে বিনোদনের খোঁজে পাহাড়ে আসা পর্যটকদের আনন্দ আর উচ্চলতা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ভুলিয়ে দিচ্ছে জীবনের নানা জটিলতা। শহরের পর্যটন স্পট সুভলং ঝর্ণা,পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স,সুখী নীলগঞ্জ, ডিসি বাংলো, পলওয়ে এবং রাজবন বিহার এলাকায় প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে শত শত পর্যটক।
১৯৬০ সালে বিদ্যূৎ উৎপাদনের জন্য কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সৃষ্টি হয় বিশাল কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ। এ হ্রদ বিদ্যূৎ উৎপাদনের পাশাপাশি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটও গড়ে উঠে। রাঙামাটিতে পর্যটন স্পটের মধ্যে শুভলং এর মনোমুগ্ধকর ঝর্ণা, রাজ বন বিহার, পেদা টিং টিং, জেলা প্রশাসনের বাংলো, ইকো টুক টুক ভিলেজ রয়েছে। এছাড়া উপভোগ করার মত রয়েছে আদিবাসীদের গ্রাম ও সহজ সরল জীবন যাত্রা। সারা বছর রাঙামাটির পর্যটনকে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে আরো বেশী আকর্ষণীয় করতে হলে পর্যটন খাতে সরকারী-বেসরকারীভাবে উদ্যক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। আর সেই সাথে পর্যটন স্পটগুলোর সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তাসহ আকর্ষণীয় করা গেলে একদিকে প্রচুর পর্যটকদের আগমন ঘটবে তেমনি করে অর্থনীতিতে রাঙামাটির পর্যটন শিল্প বিরাট ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে অনেকেই করছেন। জেলা পরিষদের বড় প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় জেলা পরিষদ গত ৩ বছরে পর্যটনের উন্নয়নে কোন প্রকল্প গ্রহণ করেনি, তবে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন পর্যটনের উন্নয়নে জেলা প্রশাসন কাজ করছে।
রাঙামাটির সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেছেন, পর্যটকদের জন্য আগে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ও অনুকুল পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর এ দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে, জনগণ কি চায়, জনগণের সাথে আলোচনা করে অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করলে পর্যটন শিল্প বিকাশে কোন সমস্যা থাকার কথা না। যারা এখানে বিনিয়োগ করবে তারা নিরাপত্তা এবং ব্যবসায়ে লাভ খুজবে, তাদের বিষয়টিও দেখতে হবে।
২০১৫ সনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয় পর্যটন বিভাগকে। ১২শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করলেও সেটি অনুমোদন না পাওয়ায় জেলা পরিষদে ছোট খাট কাজগুলোও করছে না। পর্যটনে বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাঙামাটিকে পর্যটন শহর বলা হলেও এটি দেশ বিদেশে পর্যটকদের কাছে তোলে ধরতে নেই কোন উদ্যোগ। পর্যটন সংশ্লি¬ষ্টদের মতে রাঙামাটির বিশাল সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে উদ্যোগ নিলে এটি একটি আয়ের একটি অন্যতম খাত হবে এবং রাঙামাটি দেশ বিদেশে আরো বেশী পরিচিতি লাভ করবে।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১০৫৩/নূসী