বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান রাষ্ট্রপতির

210

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
আবদুল হামিদ- প্রবীণ দিবস
প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রবীণদের সুস্থ জীবনযাপন ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রবীণদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানান।
তিনি বলেন, বার্ধক্য জীবনের বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কারণ প্রতিটি ব্যক্তিকেই স্বাভাবিক নিয়মে একদিন প্রবীণত্বকে বরণ করতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতিতে সর্বত্র মানুষের গড় আয়ু বেড়ে চলেছে। ফলে বিশ্বব্যাপী প্রবীণ জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রবীণদেরকে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেখা যায় যে বেশ কিছু প্রবীণ ব্যক্তি অবনতিশীল স্বাস্থ্য, আর্থিক সংকট এবং পারিবারিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন। প্রবীণদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে ইতিমধ্যে প্রবীণ বিষয়ক জাতীয় নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বলয় প্রসারিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রবীণদের স্বস্তিময় জীবন নিশ্চিত করতে পরিবার থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত এ বছরের আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় “মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় – প্রবীণদের স্মরণ পরম শ্রদ্ধায়” বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে। প্রবীণজন হচ্ছেন জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভান্ডার। তাঁদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব নবীন প্রজন্মের। প্রবীণদের সুস্থ জীবনযাপন ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনকে প্রবীণদের কল্যাণে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল প্রবীণদের সুস্বাস্থ্য ও স্বস্তিময় জীবন কামনা করেন।
বাসস/তবি/এমআর/১৭১২/-আসচৌ