পাটের তৈরি সোনালি ব্রিফকেস মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে হস্তান্তর

273

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাটের তৈরি ৭০টি ব্রিফকেস হস্তান্তর করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের হাতে বুধবার এই ব্রিফকেসগুলো হস্তান্তর করেন প্রতিমন্ত্রী।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিসহ প্রয়োজনীয় ডক্যুমেন্টস মন্ত্রীদের কাছে পাঠানোর কাজে এই ব্রিফকেস ব্যবহার করা হবে। এতদিন মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের আলোচ্যসূচিসহ সব কাগজপত্র চামড়ায় তৈরি কালো রংয়ের ব্রিফকেসে পাঠানো হতো। আর এখন থেকে বৈঠকের আলোচ্যসূচিসহ প্রয়োজনীয় ডক্যুমেন্টস কালো রংয়ের চামড়ায় তৈরি ব্রিফকেসের বদলে পাটের তৈরি অনেকটা সোনালী রংয়ের ব্রিফকেসে পাঠানো হবে।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি ব্রিফকেস হস্তান্তরের সময় বলেন, সোনালী আশঁ পাটের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাটকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)-এ ২৩৫ প্রকার পাটপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাট হতে পলিথিনের বিকল্প ‘সোনালী ব্যাগ’ উৎপাদনের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও পাট পাতা হতে পানীয় উৎপাদন, পাট হতে কম্পোজিট টেক্সটাইল ও জুটগার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রি স্থাপন করার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট হতে বস্ত্র শিল্পের মহামূল্যবান ভিসকস্ উৎপাদনের প্লান্ট স্থাপনের লক্ষ্যে বিজেএমসি একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশকে আবারও সোনালী আশেঁর দেশ হিসেবে রূপান্তর করে পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এজন্য ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ সুষ্ঠুভাবে শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য সর্তক মনিটরিং করার আহ্বান করা হয়েছে।