বাজিস-৭ : মেঘনা ও তেতুলীয়া নদী পাড়ের মাছ ঘাটগুলো ইলিশ মাছে ভরপুর

143

বাজিস-৭
ভোলা-ইলিশ-ভরপুর
মেঘনা ও তেতুলীয়া নদী পাড়ের মাছ ঘাটগুলো ইলিশ মাছে ভরপুর
ভোলা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার মেঘনা ও তেতুলীয়া নদী পাড়ের মাছ ঘাটগুলো ইলিশ মাছের আমদানিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে। সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন মাছের ঘাট, আড়ৎ, পাইকারী ও খুচরা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাক ও দর কষাকষিতে মুখরিত হচ্ছে প্রতিদিন ইলিশের বাজার। আর দীর্ঘদিন পর জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ ধরা পরায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। জেলে পল্লীগুলোতে বইছে আনন্দের বন্যা। ইলিশের প্রাচুর্যতায় জেলেদের অভাব দূর হবে এমন প্রত্যাশা জেলে সমাজের।
সদর উপজেলার মেঘনার ভোলার খাল মাছের ঘাট, কোরার হাট মাছের মোকাম, তুলাতুলি মাছ ঘাট, বিশ্বরোড মাছের ঘাট, জংশন এলাকার মাছঘাট, ইলিশার মাছ ঘাট, দৌলতখান উপজেলার পাতার খাল, চরফ্যসনের চেয়ারম্যানের খাল মাছ ঘাট, তেতুলীয়ার ভেদুরিয়া মাছঘাট, শান্তির হাটের মাছঘাটসহ বিভিন্ন ইলিশের মোকামে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। মোকামগুলোতে জেলেদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ এরশাদ বলেন, প্রতিদিন জেলার শতাধীক মাছ ঘাটে কোটি কোটি টাকার ইলিশ মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে যাচ্ছে। নদীতে ইলিশ পড়ায় জেলেরা পূর্ণ উদ্যেমে রয়েছে। ইলিশ বিক্রি করে অনেকেই ধার-দেনা পরিশোধ করে নির্ভার হচ্ছেন। এজন্য তিনি সরকারের জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমকে স্বাগত জানান।
এদিকে সারারাত নদীতে মাছ ধরে সকাল বেলা ঘাটগুলোতে চকচকে ইলিশ নিয়ে ফিরছে জেলেরা। ঘাটে নৌকা অথবা ট্রলার ভিড়ানোর সাথে সাথেই হাক-ডাক দিতে থাকে ব্যাপারীরা। জেলেরা ঝুড়িতে করে বিভিন্ন আকারের ইলিশ নির্দিষ্ট গোলায় রাখে। মুহুর্তের মধ্যেই সেই ইলিশ কিনতে নিলামে ডাক উঠে যায়। স্থানীয় ব্যাপারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যদাতাই সেই মাছ কিনে নিচ্ছেন। মূলত এমনি করেই এখান থেকে ইলিশ যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে। আবার অনেক ব্যবসায়ী সরাসরি লঞ্চে বা ট্রাকে করে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চাদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় মাছ সরবরাহ করে থাকেন। মৎস্য ব্যবসায়ীরা পাইকারিভাবে এখান থেকে মাছ কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে করেন।
সদর উপজেলার মেঘনা পাড়ের ভোলার খাল মাছ ঘাটের আড়ৎদার মো: আল-আমিন বাসস’কে জানান, এবার মৌসুমের প্রথম দিকে তেমন একটা ইলিশ মাছ না পাওয়া গেলেও বর্তমানে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে। কয়দিন আগেও যেসব আড়তে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার ইলিশ বিক্রি হতো, সেখানে এখন লাখের উপরে বিক্রি হচ্ছে। আলআমিন বলেন, প্রতিদিন শুধু এই ঘাট থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান জানান, এবছর ইলিশের প্রাপ্তিটা একটু শেষ দিকে হয়েছে। দেরিতে হলেও কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের সাথে সাথে আমরাও খুশি। তিনি আরো বলেন, গত অর্থ বছরে ভোলায় ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আর সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার মেট্রিক টন। এবছর উৎপাদন লক্ষমাত্রা ১ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আশা করা হচ্ছে এবারো টার্গেট অতিক্রম করবে ইলিশের।
বাসস/এইচএএম/১৭০০/মরপা