বাজিস-৬ : বাগেরহাটে ঘর পাচ্ছে ৩ হাজার ৮৭১ দরিদ্র পরিবার

135

বাজিস-৬
বাগেরহাট-ঘর
বাগেরহাটে ঘর পাচ্ছে ৩ হাজার ৮৭১ দরিদ্র পরিবার
বাগেরহাট, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস): ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটে ৩ হাজার ৮৭১ দরিদ্র পরিবার ঘর পাচ্ছে। যাদের নিজের জমি আছে কিন্তু থাকার মতো মানসম্মত ঘর নেই, সেসব পরিবারকে সেমি পাকা ঘর দিচ্ছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে জেলায় মোট ৯১৪টি ঘর তৈরির পর দরিদ্র পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অনেকে নতুন ঘর পেয়ে বসবাস শুরু করেছেন। অবশিষ্ট ঘরগুলো নির্মাণাধীন রয়েছে।
ঘর পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন অনেকে। অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দরিদ্র মানুষদের ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে, কিন্তু থাকার মতো মানসম্মত ঘর নেই, তাদের এক লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫৫ বর্গফুট আয়তনের সেমি পাকা ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। ঘরের সঙ্গে স্বাস্থ্য সম্মত টয়েলেটও তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দেয়া দরিদ্রদের তালিকাভুক্তদের এ ঘর দেওয়া হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা গ্রামে সরকারি ঘরপ্রাপ্ত হাওয়া বেগম বলেন, সিডরে আমাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্তÍ হয়ে যায়। পরে অর্থাভাবে ভালো ঘর তৈরি করতে পারেনি। ছাপড়া ঘরে থাকতাম। ঝড়-বৃষ্টি হলেই পানিতে ভেসে যেতো ঘরের মেঝে। এখন সরকার আমাদের ঘর দিয়েছে। একই সঙ্গে পাকা টয়লেটও তৈরি করে দিয়েছে। সরকারের দেয়া ঘর পেয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
ঘরপ্রাপ্ত রত্মা আক্তার বলেন, ছেলে ও ছেলের বউ নিয়ে ছাপড়া ঘরের একপাশে থাকতাম। অন্যপাশে নিজের পোষা দুটি গরু রাখতাম। গন্ধে ঘুমোতে কষ্ট হতো। এখন সরকারি পাকা ঘরে থাকি। আর গরু দুটোও খুব ভাল আছে এখন।
স্থানীয় রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন রুমী বলেন, ইউনিয়নে যাদের জমি আছে কিন্তু থাকার মতো ভাল ঘর নেই, তাদের তালিকা তৈরি করে দিয়েছি। বিনামূল্যে সেমি পাকা ঘর পেয়ে দরিদ্ররা খুশি হয়েছেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস জানান, ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় শরণখোলায় চারটি ইউনিয়ন থেকে প্রথম পর্যায়ে ৯১টি পরিবারের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। তাতে ৯১টি ঘর অনুমোদন হয়ে নির্মাণের জন্য ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এক লাখ টাকা করে যে বাজেট সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে, তা দিয়েই নির্দিষ্ট ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে শরণখোলা উপজেলার ঘরগুলো। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৮৫টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলায় ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৮৭১টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯১৪টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২ হাজার ৯৫৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। যার কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে।
বাসস/ সংবাদদাতা/১৬৫৫/মরপা