১ ডিসেম্বর শুরু হবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ভ্রাম্যমাণ বইমেলা

400

ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : শ্রাবণ প্রকাশনী ও বই নিউজ এবার আয়োজন করছে ‘মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষক ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই মেলা। চলবে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত দীর্ঘ চার মাস।
এই মেলার শিরোণাম দেয়া হয়েছে ‘ ইতিহাস ধরবো তুলে, বই যাবে তৃণমূলে ’।
এই মেলায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা বইভর্তি গাড়ি ঘুরে বেড়াবে সারাদেশ। ছুটবে আনাচে-কানাচে। যাবে দেশের ৬৪ জেলায়।
শ্রাবণ প্রকাশনীর সত্বাধিকারী রবীন আহসান আজ বাসসকে এ সব তথ্য জানান। তিনি জানান, এই মেলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঁচ শতাধিক বই থাকছে।
এর আগে গত আগস্টে পুরো মাসব্যাপী শ্রাবণ আয়োজন করেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইয়ের ভ্রাম্যমাণ মেলা। এ মেলার পরিসর ছিল রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা। এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় এবার সংস্থাটি সারাদেশের ৬৪ জেলায় মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের ভ্রাম্যমাণ মেলার আয়োজন করছে।
রবীন আহসান বাসসকে জানান, প্রতিটি জেলায় বই বিক্রি করার পাশাপাশি থাকবে বিভিন্ন কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতমিনিময়। থাকবে লেখকদের সঙ্গে আলোচনা। আলোচনার বিষয় থাকবে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ৭১টি বই। এর মধ্যে ১৬টি বই থাকবে অবশ্যপাঠ্য। পরের পাঠে থাকবে ২৬টি বই। গুরুত্বপূর্ণ বই হিসেবে বইগুলো পাঠকের কাছে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচির আয়োজন থাকছে।
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে দুই থেকে তিনদিন এবং জেলা শহরগুলোতে মেলার বসবে দুইদিন। মেলার সঙ্গে-সঙ্গে নানা কর্মসূচির আয়োজন থাকছে।
তিনি জানান, ৬৪ জেলায় মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের বই সারাদেশের মানুষের মাঝে চাহিদা রয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের পাঠক মুক্তিযুদ্ধের বই কেনার ও পাঠের সুযোগ পান না। নতুন প্রজন্মের পাঠক বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা এগুলো পাঠের সুযোগ পা না। এই উপলব্ধি থেকে তাদের দোর গোরায় এ কারণেই আমরা বই নিয়ে যাচ্ছি। এটাকে একটা আন্দোলন হিসেবে শ্রাবণ প্রকাশনী গ্রহণ করেছে। মূল কথা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের পাঠক সৃষ্টি করা।
তিনি জানান, এই মেলা সম্পর্কে পাঠক, লেখক ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবগত করার জন্য দেশের আটটি বিভাগে আলাদাভাবে আটটি পোস্টারে প্রচার করা হবে। বিভাগীয় ও জেলা শহরে কোথায়-কোথায় মেলার গাড়ি অবস্থান করবে তা জানিয়ে দেয়া হবে। প্রয়োজনে ভিন্নভাবে থানা পর্যায়েও মেলার গাড়ি চলে যাবে।