তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

264

ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন ব্যবসা পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আগামীকাল ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন শিল্প বিকাশে তথ্য প্রযুক্তি’।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। পর্যটন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করে এই শিল্পকে একটি অন্যতম অর্থনৈতিক খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমাদের রয়েছে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত পর্যটন আকর্ষণ, বিশ্ব ঐতিহ্যসমূহ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার মতো সহজাত আতিথেয়তাপূর্ণ বাঙালি মানস। পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা উপলব্ধি করে জাতীয় পর্যটন নীতিমালা-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠন করেছি। টেকসই পর্যটন উন্নয়নে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে এবং তাদের নিকট পর্যটনের সুফল পৌঁছে দিতে কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমের ওপর গুরুত্বারোপ করেছি। দেশের পর্যটন শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা একটি পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে হাত দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে পর্যটন অন্যতম বৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। আমাদের দেশ অত্যন্ত পর্যটন সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এ শিল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গঠন করেন। বাংলাদেশের অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে তার সরকার সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৮’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।