বাসস দেশ-৩ : বৈকুন্ঠ পরিবেশন করলো ‘ছড়ায় ছড়ায় প্রেম’ আবৃত্তি

175

বাসস দেশ-৩
সংস্কৃতি–বৈকুন্ঠ আবৃত্তি অনুষ্ঠান
বৈকুন্ঠ পরিবেশন করলো ‘ছড়ায় ছড়ায় প্রেম’ আবৃত্তি
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বিভিন্ন কবির লেখা চিরায়ত ছড়া-কবিতা নিয়ে ‘ছড়ায় ছড়ায় প্রেম’ শীর্ষক আবৃত্তির ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান দর্শকশ্রোতারা প্রাণভরে উপভোগ করলেন। বাংলা সাহিত্যে সুদীর্ঘকাল ধরে যে সব ছড়া প্রাধান্য বিস্তার করে পাঠকদের মন জয় করে আছে, নতুন করে মঞ্চে আসলো এইসব সৃষ্টিকর্ম।
বৈকুন্ঠ আবৃত্তি একাডেমি আয়োজিত এবং খ্যাতিমান আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মুস্তফার নির্দেশনায় গতকাল রাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘ছড়ায় ছড়ায় প্রেম’ শীর্ষক আবৃত্তি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনীর বিনিময়ে এই আবৃত্তি পরিবেশনা উপভোগে পুরো মিলনায়তনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে শিশু-নারীসহ সব বয়সের ¯্রােতারা শিল্পীদের এই মনমুগ্ধকর উপস্থাপনাকে মুহূর্মূহু হাততালি দিয়ে ভাললাগার অনুভূতি প্রকাশ করেন।
পঞ্চান্ন মিনিটের এই আবৃত্তি অনুষ্ঠানে শিল্পীরা একটানা যে সব ছড়া আবৃত্তি করেন, সেগুলো হচ্ছে কাজী নজরুল ইসণলামের ‘প্রবর্তকের ঘুর চাকায়’, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘পালকি চলে, পালকি চলে’ ও ‘ইলশেগুড়ি ইলশেগুড়ি’, ডিএল রায়ের ‘হো- বিক্রমাদিত্য রাজায় দিল নরহত্যা ন’ ভাই’, সুকুমার রায়ের ‘হুঁকো মুখো হেংলা, আয়রে ভোলা, অসময়ে মেহমান, আয়রে ভোলা খেয়াল খোলা ও যে আনন্দে ফুলের বাসে’, শঙ্খ ঘোষের ‘সে ছিলো একদিন আমাদের যৌবনে কলকাতা’ এবং হুমায়ুন আহমেদের ‘ভাল থেকো ভুল, মিষ্টি বকুল’। আবৃত্তির সঙ্গে শিল্পী শিমুল মুস্তাফার সঙ্গীত পরিচালনায় পরিবেশনা হয়ে উঠে এক নতুনধারা আবৃত্তিযজ্ঞ। প্রতিটি ছড়া পরিবেশনায় আবহ সংগীতের সঙ্গে যুক্ত ছিল বিষয়ানুগ ছায়াচিত্র। ছায়াচিত্রে ছড়ার বিষয়কে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। অন্যদিকে আবৃত্তি শিল্পীদের পরিবেশনায় মুন্সিয়ানার সঙ্গে পোশাক এবং উপস্থাপনার ঢঙ আবৃত্তিশিল্পে নিয়ে এলো এক নতুনধারা।
এতে আবৃত্তি করেন শিল্পী মাহমুদুল হাকিম তানভীর, ফাহমিদা আজাদ, লায়লা নওশীন, তানভীর আনজুম, রায়হান নাসিফ, সুলতানা ইয়াসমিন, জয় শিকদার, দীনা মিত্র, রাবেয়া রশিদ স্বপ্না, রাজিয়া জামান নাফিসা ও শেখ সজীব আহেমদ। নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন পল্লব ঘোষ ও শারমিন পুতুল। যন্ত্র সংগীতে হুমায়ুন আজম রেওয়াজ, প্রধান সমন্বয়কারী অলি আহমেদ পল্লব, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নিপুন নিয়ামত ও মঞ্চ ব্যবস্থপনায় ছিলেন আবেদ হোসাইন।
আবৃত্তি পরিবেশনার আগে বৈকুন্ঠ আবৃত্তি একাডেমির সভাপতি শিল্পী শিমুল মুস্তাফা সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন , ছড়াশিল্পের পরিবেশনা হয় না বললেই চলে। আমাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল এই পরিবেশনা। শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের মধ্যে ছড়া আবৃত্তির নতুনত্বের স্পর্শ আমরা ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করলাম। শিল্প-সংস্কৃতির পতাকা উড়িয়ে মানুষের হৃদয়কে ভরিয়ে তুলতে চাই অশেষ আলোয়। আর আমরা স্বপ্ন দেখি সেই আলোর মিছিলে এক কাতারে হাত ধরে হাঁটার। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা মঞ্চে একগুচ্ছ শিশুতোষ ছড়া নিয়ে হাজির হয়েছি।
বাসস/এইচএ/১৪১০/এমএবি