বাজিস-১১ : বগুড়ায় প্রতিবন্ধীরা সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ফিজিও সেবা পাচ্ছে

343

বাজিস-১১
বগুড়া- সেবা
বগুড়ায় প্রতিবন্ধীরা সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ফিজিও সেবা পাচ্ছে
বগুড়া, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (বাসস) : প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, এই কথা মাথায় রেখে সরকারের সমাজ সেবা মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ স্থাপন করে। আজ এটি দরিদ্র মানুষের কাছে আশির্বাদ। প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাত গ্রস্থ শিশু , কিশোররা সেবা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছে।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের বগুড়া প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য বগুড়ার কেন্দ্র এসে ফিজিও থেরাপি নিয়ে স্বাভাবিক এসেছে জেলার সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাটের সাড়ে ৩ বছরের শিশু শিশির খাতুন। শিশুটির মা সুমি বেগম জানান, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র সেবা নিয়ে তার সন্তান মাত্র ১৫ দিনেই প্রায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। জন্মের পর থেকে দুই বছর বয়স থেকে তারা শিশু পায়ে ভর করে দাঁড়াতে পারতো না। এখন সে হাঁটতে পারে।
একই এলাকার ১০ মাসের শিশু দীন মোহাম্মদের শ্রবন শক্তি ছিল না, হাঁটতে পারতো না। প্রাইভেট ফিজিও খেরাপী সেন্টারে প্রতিদিন ৪০০ টাকা দিয়ে ফিজিও থেরাপী দিয়ে কোন উপকারে আসেনি। শিশুর জন তার জমিজমা বিক্রি করতে হয়েছে। প্রাইভেট সেন্টারে তাকে ৮ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে। পরে শহরের মালতি নগরের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র বিনামূল্যে সেবা নিয়ে শিশুটির শ্রবণ শক্তি বেড়েছে, নুইয়ে পড়া ঘাড় তুলতে পারছে।
প্রাইভেট সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছে। সরকারের সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শারিরীক , মানসিক, পক্ষাঘাতগ্রস্থ, শ্রবনশক্তি হারানো শিশু, কিশোর বয়স্করা সেবা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রের কনসালট্যান্ট ফারজানা ইয়াসমিন।
২০১৩ সালে দেশের জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ঢাকা, বাগেরহাট জেলায় জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র স্থাপনের মধ্যে দিয়ে এর যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে একে একে দেশের সকল জেলাসহ কয়েকটি উপজেলায় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এখন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সংখ্যা ১০ টি।
এটা সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্প। সেবা কেন্দ্রটি সরকারের প্রকল্পের অধীনে থাকায় যন্ত্রপাতি মোরমত ও রক্ষনাবেক্ষন করতে অর্থ সংকট দেখা দিচ্ছে। প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার জানান, যন্ত্রপাতি মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় ভাবে মেরামত করে চেষ্টা করে কাজ চালনো হচ্ছে। তিনি আরও জানান প্রতিদিন শতাধিক শিশু নারী, পুরুষ সেবা নিতে আসে। সেবা নিতে আসা মানুষ সরকারের এই মহতী উদ্যোকে স্বাগত জানিয়েছেন। যারা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন তাদের চোখেমুখে আনন্দ ধারা বয়ে যায়।
বাসস/ সংবাদদাতা/২০৪০/মরপা