বাসস দেশ-২৪ : নয়টি কোম্পানি বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে বিনিয়োগ করবে ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার মানুষের

319

বাসস দেশ-২৪
হাইটেক-প্লট-বরাদ্দ
নয়টি কোম্পানি বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে বিনিয়োগ করবে ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার মানুষের
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে নয়টি কোম্পানি ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং এখানে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে নয়’টি কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ওই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে তাদের প্লট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এর ফলে আগামী ৪০ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’তে রবি অজিয়াটা, জেনেক্স, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাজডাক টেকনোলজিস এবং জেআর এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের সুযোগ পেলো।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ৯টি কোম্পানি এখানে ২০ দশমিক ৫০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে। তারা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, আইওটি, বিপিও, ট্রেনিং সেন্টার, ডাটা- সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে। এই হাই-টেক পার্কে প্রায় ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। কোম্পানিগুলো এখানে প্রায় ১৪০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় নির্মিত বা নির্মিতব্য হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটে গত ২ সেপ্টেম্বর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে লন্ডনে সেমিনার, রোডশো-সহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির উপর স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ফ্লাগশিপ প্রকল্প। এ পার্কে প্রায় এক লাখ লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। হাই-টেক পার্ক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলো সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি পণ্য রপ্তানী মূল কেন্দ্র হয়ে গড়ে উঠবে। ইতোমধ্যে জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হতে বিভিন্ন কোম্পানী বিদেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে।
আইসিটি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অন্ষ্ঠুানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম। হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং জমি বরাদ্দপ্রাপ্ত কোম্পানীর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমএন/২০২০/এবিএইচ