বাসস দেশ-৭ : শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ২৭ সেপ্টেম্বর

133

বাসস দেশ-৭
ময়েজউদ্দিন-বার্ষিকী
শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর।
১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশিষ্ট রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের নিবেদিত সংগঠক
ময়েজউদ্দিন দুর্বৃত্তদের হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সারাদেশে ২২ দলের আহবানে হরতালে মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় গাজীপুরের কালিগঞ্জে এরশাদ সরকারের লেলিয়ে দেয়া কতিপয় সন্ত্রাসী তাঁর ওপর এই হামলা চালালে তিনি ঘটনাস্থলেই শাহাদৎ বরণ করেন।
শহীদ ময়েজউদ্দিন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির পিতা। তার শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও গাজীপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ ময়েজউদ্দিনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ১১টায় কালীগঞ্জ সদরে শহীদ ময়েজউদ্দিনের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল সাড়ে ১১টায় কালীগঞ্জ সদরে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ, বাদ জোহর কালীগঞ্জে শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু সংলগ্ন মেহের আফরোজ চুমকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ, এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়েনে আওয়ামী লীগ এর আয়োজনে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ অনুষ্ঠিত হবে।
শহীদ ময়েজউদ্দিন বর্তমান গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বড়হরা গ্রামে ১৯৩০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ ছুরত আলী, মাতার নাম শহরবানু। তিনি ঐতিসাহিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিলের’ আহ্বায়ক ছিলেন।
তিনি বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কালিগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট) সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি)’র মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান “স্বাধীনতা পদক”-এ ভূষিত করেন।
বাসস/সবি/এমএআর/১৭০০/কেকে