বাসস দেশ-৪ : চ্যারিটেবল মামলার আসামী মুন্নার জামিন বাতিল

178

বাসস দেশ-৪
চ্যারিটেবল-আদেশ
চ্যারিটেবল মামলার আসামী মুন্নার জামিন বাতিল
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় আসামী জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন বাতিল করেছে আদালত।
একই সঙ্গে, এ আদালতের প্রতি অনাস্থা বিষয়ে আদেশ ও যুক্তিতর্ক শুনানির দিন কাল মঙ্গলবার ২৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে। দুদকের পক্ষে কৌঁসুলি মোশররফ হোসেন কাজল বাসস’কে এ কথা জানান।
রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত আজ এ আদেশ দেন।
কাজল বলেন, এ মামলার চার আসামি হচ্ছেন-বেগম খালেদা জিয়া, তার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ের রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া বাসস’কে জানান, খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সম্পর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণে আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আজ আসামী জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে শুনানিকালে মুন্না আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি মুলতবি করার আবেদন করেন। তার এ আবেদন নামঞ্জুর হলে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান মুন্না এবং একইসঙ্গে মনিরুল ইসলাম খান। এতে মুন্নার অস্থায়ী জামিন বাতিল করেন আদালত। তবে মনিরুল ইসলাম খান স্থায়ী জামিনে থাকায় তার জামিন বহাল থাকে।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই যুক্তিতর্ক শুনানি তথা বিচার চলবে বলে আদেশ দেয় আদালত।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলি এডভোকেট মোশররফ হোসেন কাজল বাসস’কে জানান, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে বলে ২০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেয় আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আইন অনুযায়ী তার (খালেদা জিয়া) হাজিরা দাখিল করবেন। সে অনুযায়ী আজ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে খালেদার কাস্টডি আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছুক’। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বরও খালেদার ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে একই কাস্টডি পাঠানো হয় আদালতে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে কি-না, এ বিষয়ে সেদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে ২০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেয় আদালত।
গত ৫ সেপ্টেম্বর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে বলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি আর আদালতে হাজির হতে পারবেন না। ওইদিন তার আইনজীবীরাও উপস্থিত হননি আদালতে। গত ৪ সেপ্টেম্বর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার সম্পন্ন করতে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের ওই গেজেটে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর-৭ কে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়ে এখন পুরতান কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করছেন বেগম খালেদা জিয়া।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৫০৩/এমএসআই