মেধা সম্পদের সুরক্ষায় খুব শীঘ্রই জাতীয় মেধাসম্পদ নীতি চূড়ান্ত হচ্ছে : শিল্পমন্ত্রী

346

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : মেধাসম্পদ সৃষ্টি ও সুরক্ষায় শিগগিরই জাতীয় মেধাসম্পদ নীতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জাতীয় মেধাসম্পদ নীতির খসড়া তৈরি করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। এ নীতিতে সৃজনশীল উদ্ভাবনে নারীদের অংশগ্রহণ ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পাবে।’
শিল্পমন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত ‘ক্ষমতায়নের পরিবর্তন : উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতায় নারী’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তৃতা করছিলেন।
শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন ট্রিম ট্রেক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী সাহিদা পারভীন। অনুষ্ঠানে ডিপিডিটি’র রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এতে সৃজনশীল নারী উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবী, প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সৃজনশীল মেধাসম্পদের সুরক্ষা ও পৃষ্ঠপোষকতার নীতি গ্রহণ করেছে। জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬তে নতুন উদ্ভাবন ও বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদের সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর আলোকে মেধাসম্পদ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশের ট্রেডমার্কস আইন, কপিরাইট আইন ইত্যাদি আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন আধুনিক করা হচ্ছে। বিশেষ ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী পণ্যের মালিকানা সুরক্ষায় জিআই ‘ল’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় জাতীয় মাছ ইলিশ এবং ঐতিহ্যবাহী জামদানিকে জিআই সনদ দেয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনুকরণীয় মডেল। বাংলাদেশের সরকার, রাজনীতি, জাতীয় সংসদ, সিভিল প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নারীরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের গৌরবময় তৈরি পোশাক শিল্পখাতে কর্মরত শতকরা ৮০ জনই নারী। বর্তমানে দেশের ৬২ শতাংশ নারী আয়বর্ধক কাজে জড়িত। দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার সর্Ÿোচ্চ বলে তিনি উল্লেখ করেন।