বরগুনার লালদিয়ার চরটিও হতে পারে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট

501

বরগুনা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : একদিকে সুন্দরবন আর অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখারও সূযোগ রয়েছে। প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ, আবহমান বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ উপকূলে বরগুনার পাথরঘাটায় অবস্থিত এলাকাটির নাম লালদিয়ার চর। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গন্য করা হচ্ছে না লালদিয়ার চরকে। ভ্রমণ বিলাসীদের কাছে অজানাই থেকে যাচ্ছে সৌন্দর্যের এই লীলাভূমিটি।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সুন্দরবন। পাশেই বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় লালদিয়ার চর। এ চরটি সুন্দরবনের খুব কাছে থাকায় পর্যটকরা সহজেই সুন্দরবনের সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারবেন। এখানকার বনের মেছোবাঘ, হরিণ, বানরসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী সহজেই পর্যটকদের মনে দোলা দেবে। লাখ লাখ লাল কাঁকড়া চরের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক গুণে। চরের বালুতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেই গর্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে শুরু করে লাল কাঁকড়ার ঝাঁক। মানুষের উপস্থিতি টের পেলেই মূহুর্তে আবার গর্তে ঢুকে যায়। এভাবে রাতদিন লুকোচুরি খেলতেও ওদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে না।
বরগুনা জেলা থেকে সড়কপথে লালদিয়ার চরে সরাসরি ভালো যোগাযোগের ব্যবস্থা এখনও গড়ে উঠেনি। তবে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা অনেক পর্যটকরা ট্রলারযোগে এখানে আসেন। উপভোগ করেন প্রাকৃতিক নিসর্গ।
বরগুনার জেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ মো. দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা গেলে সমুদ্র দেখতে আসা পর্যটকদের কাছে লালদিয়ার চরটি সৌন্দর্য্যে নতুন মাত্র যোগ করবে। জেলা পরিষদ এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে।
বন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ জানান, এখানকার সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ চরে আধুনিক পর্যটন হোটেল তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে লালদিয়ার চরটিও দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের মত পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।