বাসস দেশ-১৭ : মেধাসম্পদ নীতি প্রণয়নের কাজ চলছে : আবদুল হালিম

356

বাসস দেশ-১৭
আইএসও-প্রশিক্ষণ
মেধাসম্পদ নীতি প্রণয়নের কাজ চলছে : আবদুল হালিম
ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : শিল্পসচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল হালিম বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে মেধাসম্পদ নীতি প্রণয়নের কাজ চলছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মান বা আইএসও ১৭০২৫:২০১৭ অনুধাবন বিষয়ক একুশতম প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মোঃ আবদুল হালিম বলেন, শিল্পখাতের টেকসই বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় সহায়কের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে অ্যাক্রেডিটেশন ধারণার প্রসারে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ জোরদার করা হয়েছে।
তিনি গুণগত শিল্পায়নের জন্য বেসরকারিখাতের উৎপাদিত পণ্যের মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী ও বিএসটিআই’র পরিচালক শামীম আরা বেগম এবং নূর আলম বক্তব্য রাখেন।
ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব বলেন, বিশ^ায়নের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি অবারিত হয়েছে। এতে করে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি ক্রমেই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিশ^ব্যাপী অ্যাক্রেডিটেশনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশেও বেসরকারিখাতের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি এ ধারা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে বিএবি’র লিংকেজ শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন।
মো. আবদুল হালিম বলেন, পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য আইন প্রয়োগের ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে কমপ্লায়েন্স পালনে শিল্প কারখানাকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে বেসরকারিখাতের অবদানে ইতোমধ্যে ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ব্যবসায়িক সাফল্য পেলে শিল্প উদ্যোক্তারা নিজস্ব প্রয়োজনেই অ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।
তিনি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএবি’র প্রশিক্ষিত অ্যাসেসর ও কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সাথে সংযোগ বৃদ্ধির তাগিদ দেন। এর ফলে বিএবি’র পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীরাও অ্যাক্রেডিটেশন সম্পর্কিত নতুন নতুন বিষয়ে জানার সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন এবং স্ট্যান্ডার্ড বিষয়ে ২০০৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সংযোজিত নতুন নতুন বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের ধারণা দেয়া হয়।
এতে দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৫টি টেস্টিং, ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, ও মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিদর্শন সংস্থায় কর্মরত ২৫ জন অ্যাসেসর ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।
এ প্রশিক্ষণ বাংলাদেশে বিদ্যমান দেশীয় ও বহুজাতিক ল্যাবরেটরির পরীক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯০১/এইচএন