বাসস দেশ-৭ : চাঁদপুরে ১০ টাকা কেজিতে সেপ্টেম্বরে চাল পেলো ৫৩ হাজার ১৫৬ পরিবার

114

বাসস দেশ-৭
চাল-কর্মসূচি
চাঁদপুরে ১০ টাকা কেজিতে সেপ্টেম্বরে চাল পেলো ৫৩ হাজার ১৫৬ পরিবার
চাঁদপুর, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : চাঁদপুরে ১০ টাকা কেজিতে সেপ্টেম্বর মাসে চাল পেলো ৫৩ হাজার পরিবার। বর্তমান সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুরে গত ১ মার্চ মাস থেকে অতি দরিদ্র ও অসহায় ৫৩ হাজার পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে মার্চ ও এপ্রিল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই ৫ মাস ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে চাঁদপুরের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোখলেছুর রহমান বাসস’কে বলেন, চাঁদপুরের ৮ উপজেলার ৮৮টি ইউনিয়নে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে ৫৩ হাজার ১৫৬টি পরিবারের মধ্যে ১২৮ জন সরকারিভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলারের মাধ্যমে ওই চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের চাল সকল ডিলার উত্তোলন করে নিয়ে বিতরণ করেছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাঁদপুরের সদর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে ২৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮ হাজার ৭৩৬টি পরিবার, হাজীগঞ্জের ১১টি ইউনিয়নে ২১ জন ডিলারের মাধ্যমে ৭ হাজার ২৬৬টি পরিবার, ফরিদগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নে ১৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ৭ হাজার ৯৯৭টি পরিবার, মতলব দক্ষিণের ৬টি ইউনিয়নে ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫ হাজার ৩৬৫টি পরিবার ,মতলব উত্তরের ১৩টি ইউনিয়নে ১৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ৬ হাজার ৮১৪টি পরিবার, শাহরাস্তিতে ১০ টি ইউনিয়নে ১২ জন ডিলারের মাধ্যমে ৪ হাজার ৫০৭টি পরিবার, কচুয়ার ১২টি ইউনিয়নে ১৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ৯ হাজার ৩১২টি পরিবার এবং হাইমচরের ৬ টি ইউনিয়নে ৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩ হাজার ১৬৮টি পরিবারকে স্ব -স্ব ইউনিয়নে ওই চাল দেয়া হচ্ছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজি বিল্লাল বাসসকে বলেন, খাদ্য ও জনবান্ধব এই সরকার, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছার এই খাদ্য সহায়তা প্রকল্প, অসহায় গরিব ও নি¤œ আয়ের েেলাকরা সরাসরি উপকৃত হচ্ছে ১০ টাকা দরের চালে।
তার ইউনিয়নে ৭২২ জন কার্ডধারি স্বল্প আয়ের লোক এই ১০ টাকার কেজির চাল পেয়েছে। সরকারী তদারকি অফিসারের উপস্থতিতে চাল বিলি বন্টন করেছে সরকার নিয়োজিত ডিলার, আমরা তাকে বিক্রিতে সহযোগিতা করেছি।
এই ইউপির ব্রাম্মনসাখুয়া গ্রামের ৪৯৬ নং কার্ডদারি সালেহা বেগম (৬০) বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঋণি, কারণ বছরের এই সময় আমাদের হাতে কোন কাজ থাকেনা, খুব অর্থ সংকটে ভুগতে হয়, তাই এই ১০ টাকা কেজির চালে আমাদের খাদ্য সামস্যা অনেকটাই মিটে যায়।
একই ইউপির চরমায়েশার ৩১৪ নং কার্ডদারি হিরন চন্দ্র দাস (৬৩) বলেন, ‘এই সরকার জনবান্ধব সরকার, আমরা যারা গরিব ও অসহায় তাদের পাশে সব সয়য় শেখ সাহেবের মেয়ে আছে, অসহায় ও গরিবের দুঃখ সে বুঝে। এই ১০ টাকা কেজির চালে আমার সংসারের অনেক সহযোগিতা হইছে।’
চাঁদপুরের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, নি¤œ আয়ের মানুষের আর্থিক সহযোগিতার জন্যেই সরকার ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার উদ্যোগ নেয়। এ কর্মসূচির আওতায় ২০১৮ সালে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা করে (প্রতি কেজি) প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই আলোকেই প্রথম ধাপে গত মার্চ-এপ্রিলে হতদরিদ্র পরিবারকে চাল দেয়া হয়েছে। আর এখন আমরা সেপ্টেম্বর মাসের চাল ডিলারদের দিয়েছি, তারা সঠিক ভাবেই বিতরণ সম্পন্ন করেছে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ও চাল বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএন/১৬২৫/-কেকে