সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারে ব্লু ইকোনোমীর কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে : নারায়ন চন্দ্র চন্দ

333

সংসদ ভবন, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, সরকার সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে স¦ল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় ব্লু ইকোনোমীর কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে সরকার সামুদ্রিক সম্পদের বিশাল জলরাশি থেকে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও আহরণে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে প্ল্যান অব অ্যাকশন প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৭ এর খসড়া মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পাইলট কান্ট্রি হিসেবে ব্লু গ্রোথ ইকোনোমীর নামে অভিহিত সমুদ্র অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে আইওটিসি’র সদস্য পদ অর্জন করেছে।
নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণের নির্দেশনানুযায়ী ১০টি লং লাইনারসহ মোট ১৭টি ফিশিং লাইসেন্সের সম্মতিপত্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রদান করা হয়েছে। এসব কার্যক্রমের ফলে টুনা মাছসহ অন্যান্য পেলাজিক মাছের আহরণ বাড়ার পাশাপাশি মৎস্য রপ্তানি কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।
সরকারি দলের সদস্য মো. আব্দুল মতিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেরিন ফিসারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩৩টি ট্রলারে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম ডিভাইস সংযোজন এবং ৬৭ হাজার ৬৬৯টি যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযানের ডাটাবেইজ প্রণয়ন উপকূলীয় জেলেদের মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী ও মাছ ধরার সরঞ্জামসহ মোট ১১৮টি ফাইবার রি-এনফোর্সড প্লাস্টিক নৌকা বিতরণ করা হয়েছে।