বাসস দেশ-১৬ : পরিবেশ সুরক্ষায় যে কোন মূল্যে নির্বিচারে গাছপালার কর্তন রোধ করতে হবে : ত্রাণমন্ত্রী

152

বাসস দেশ-১৬
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী-রোহিঙ্গা ক্যাম্প
পরিবেশ সুরক্ষায় যে কোন মূল্যে নির্বিচারে গাছপালার কর্তন রোধ করতে হবে : ত্রাণমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রান্নার জ¦ালানি সমস্যার সমাধানে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় যে কোন মূল্যে এ এলাকায় নির্বিচারে গাছপালার কর্তন রোধ করতে হবে।’
তিনি আজ সোমবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভারত সরকার প্রদত্ত ১১ লাখ লিটার কেরোসিন তেল ও ২০ হাজার স্টোভ গ্রহণ ও রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রীংলা উপস্থিত থেকে এ তেল ত্রাণমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ তেল ২০ হাজার পরিবারের ৫ মাসের জ¦ালানি চাহিদা পূরণ করবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার ও মহাসচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন এবং রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জ¦ালানি সমস্যা একটি বড় সমস্যা। স্থানীয়ভাবে এলপিজি গ্যাস, কাঠ ও ধানের তুষ ইত্যাদি সরবরাহ করে এ সমস্যার মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এর টেকসই সমাধান প্রয়োজন। এলপিজি গ্যাস সরবরাহ এ সমস্যার সমাধানে কার্যকর ও টেকসই হতে পারে।’
এ সমস্যার সমাধানে তিনি ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দীর্ঘদিন নির্বিচারে বনভূমি উজাড় করতে দেওয়া যায় না। এ এলাকায় এমনিতেই আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে। এর ওপর নির্বিচারে বন উজাড় হলে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী হতে পারে।’
তিনি আগামী শীত মৌশুমকে সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের জন্য শীতবস্ত্র ও উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
ত্রানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেউ না খেয়ে থাকছেনা, চিকিৎসায় কষ্ট পাচ্ছেনা। সরকার তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, সেনিটেশন, সুপেয় পানির সরবরাহসহ সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’ তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও এখানে দায়িত্ব রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ভারতসহ সকল রাষ্ট্র সহযোগিতা প্রদান ও মায়ানমারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখবে বলে মন্ত্রী আশাবদ ব্যক্ত করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯০৫/-এমকে