খুলনা , ২৩ এপ্রিল ২০১৮ (বাসস) : কেসিসি নির্বাচনে নগরীর ৭ থানার ২৩৪টি কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেছে কেএমপি। আর সাধারণ কেন্দ্রের তালিকায় রেখেছে মাত্র ৫৫টি কেন্দ্রকে। নির্বাচন কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে কেসিসি নির্বাচনের মোট ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কেএমপি। প্রতিবার নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ ও অতিঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিমুক্ত তিন ক্যাটাগরিতে কেন্দ্র ভাগ করলেও এবারে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ এ দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে তারা। পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অতিগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ও কয়েকটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হতে পারে বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। সূত্রে জানা যায় আগামী ১৫ মে কেসিসি নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের চাহিদার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রের তালিকা করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। অতীত অভিজ্ঞতা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুুতকৃত এ তালিকায় এগিয়ে আছে দৌলতপুর থানা। এ থানায় ৪১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১টি গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে ৮টি, ২নং ওয়ার্ডে ১টি, ৩নং ওয়ার্ডে ১১টি, ৪নং ওয়ার্ডে ৬টি, ৫নং ওয়ার্ডে ৬টি, ৬নং ওয়ার্ডে ৯টি কেন্দ্রের সব কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেছে কেএমপি। এর পরেই রয়েছে সদর থানা । এখানে ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৮টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। ২১নং ওয়ার্ডে ১০ কেন্দ্রের ৮টি, ২২নং ওয়ার্ডে ৮টির মধ্যে সবক’টি, ২৩নং ওয়ার্ডে ৮টির মধ্যে ৬টি, ২৪নং ওয়ার্ডে ১৬টির মধ্যে ১০টি, ২৭নং ওয়ার্ডে ১৪টির মধ্যে ১১টি, ২৮নং ওয়ার্ডে ৯টির মধ্যে ৮টি, ২৯নং ওয়ার্ডে ৮টির মধ্যে ৫টি, ৩০নং ওয়ার্ডে ১৪টির মধ্যে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ। লবণচরা থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডে ১৫টি কেন্দ্রেই গুরুত্বপূর্ণ। সোনাডাঙ্গা থানার ৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি, ১৭নং ওয়ার্ডে ১২টি কেন্দ্রের ৯টি, ১৮নং ওয়ার্ডে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি, ১৯ ও ২০নং ওয়ার্ডে ৮টি করে কেন্দ্রের সব কটি, ২৫নং ওয়ার্ডে ১০টির ৮টি, ২৬নং ওয়ার্ডে ৯টির ৮টি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকায়। এদিকে খালিশপুর থানার ৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি কেন্দ্র রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকায়। এর মধ্যে ৭নং ওয়ার্ডে ৪টির সবকটি, ৮নং ওয়ার্ডে ৫টির মধ্যে ৪টি, ৯নং ওয়ার্ডে ১৩টির মধ্যে ১০টি, ১১নং ওয়ার্ডে ৭টির ৩টি, ১২নং ওয়ার্ডে ৮টির মধ্যে ৬টি, ১৩নং ওয়ার্ডে ৪টির ৩টি, ৮টির মধ্যে ৪টি, ১৫নং ওয়ার্ডে ৪টির মধ্যে ৩টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আড়ংঘাটা থানার ৪টির মধ্যে ২টি কেন্দ্র রয়েছে অতিগুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকায়। পূর্ববর্তী সকল নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ, অতিঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এবারই প্রথম দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ। তবে পরবর্তী পরস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এর মধ্যে অতিগুরুত্ব পূর্ণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে কেএমপির পক্ষ থেকে সে সকল কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র নিশ্চিত করেছেন।