বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের উন্নতি এশিয়া কাপকে আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলেছে

365

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্দা উঠছে ১৪তম এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের। ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে এশিয়ার বিশ্বকাপ হিসেবে খ্যাত এ টুর্নামেন্টর আকর্ষন দিনকে দিন বাড়ছেই। এবারের আসরে টেস্ট খেলুড়ে পাঁচটি দেশ ভাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলবে ওয়ানডে মর্যাদা না পাওয়া হংকং। একটা সময় ছিল এশিয়া কাপের শিরোপা মানেই ভারত কিংবা শ্রীলংকা। আবার কখনো পাকিস্তান। তবে গত দুই বছর যাবত বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের দারুন উন্নতির কারণে টুর্নামেন্টটা এখন আর একতরফা হচ্ছেনা।
মূল বিষয় হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ স্থানীয় দলগুলো মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্ট অংশ নিচ্ছে। ১৯৮৪ সালে শুরু হলেও মাঝখানে ছেদ পড়লেও ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ টুর্নামেন্ট।
একটা সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল ভক্ত সমর্থকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয়, বড় ম্যাচ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের দারুণ উত্থানে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচও পেয়েছে ‘বড় ম্যাচের’ মর্যাদা।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলগুলোর নিজেদের মধ্যে বড় ধরনের প্রতিদ্বন্দিতা আঞ্চলিকভাবে বেশ জনপ্রিয়। তবে এশিয়ার দেশগুলোর আন্ত:মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটি আরো বেশি জনপ্রিয় ও ‘বড় ম্যাচ’।
এশিয়ান দলগুলোর উত্থান:
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এখন বড় দল হিসেবে পরিচিত। এই দুই দলের উত্থানে এশিয়া কাপ এখন আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সালে আইসিসি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত টুর্নামেন্টের কোয়ার্টারফাইনাল খেলার যোগ্য অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশ দলের চেহারা বদলে গেছে। দুই মাস পর নিজ মাটিতে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে টাইগাররা। এরপর নিজ মাঠে শক্তিশালী পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। অতি সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ জয় করেছে তারা।
২০১২ সালের দ্বিতীয়বার ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ।
মহাদেশের অপর দল আফগানিস্তানও আজ যে কোন বড় দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। তাদের দলে রয়েছে রশিদ খান ও আসগর আফগানের মত মেধাবী খেলোয়াড়। সংক্ষিপ্ত ফর্মেটে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে খুব স্বল্প সময়েই আইসিসির টেস্ট মর্যাদা লাভ করেছে দলটি।
আফগানিস্তানসহ আঞ্চলিক দলগুলোর উন্নতির লক্ষ্যেই ১৯৮৩ সালে গঠিত হয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল(এসিসি)। আফগানিস্তান ইতোমধ্যেই ২০১০ টি-২০ এবং ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছে। আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় আসরে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করেছে দলটি।
এশিয়া কাপে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৩ আসরে ভারত ছয় বার ও শ্রীলংকা পাঁচ বার শিরোপা জয় করেছে।
দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনে থাকায় কেবলমাত্র আইসিসি ইভেন্টেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ম্যাচ দেখা যায়। সে দিক বিবেচনায় ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে অন্তত তিনটি ম্যাচ ধেখা যেতে পারে।