পর্যটক মুখর রাঙ্গামাটি

486

রাঙ্গামাটি, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসছেন রাঙ্গামাটিতে। পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পাহাড়ী শহর রাঙ্গামাটি। বিশেষ করে সরকারী ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।
শহরের আবাসিক হোটেল গুলোতে বুকিং আছে মোটামুটি। অভিজাত আবাসিকস্থল পর্যটন মোটেল,হোটেল মতিমহল, সুফিয়া হোটেল, গ্রীণ ক্যসেল এর প্রায় রুম বুকিং রয়েছে।
এদিকে,রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে অবস্থিত হোটেল মতি মহল এর স্বত্বাধিকারী শফিউল আজম বলেন, গত দুইদিন ধরে আমাদের এখানে সম্পূর্ণ বুকিং রয়েছে।অপরদিকে,হোটেল সুফিয়ার মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন,আমার এখানে বুকিং আছে মোটামুটি। আশাকারি আরো বাড়তে পারে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা কয়েকজন সাংবাদিক জানান, রাঙ্গামাটি অত্যন্ত সুন্দর একটি শহর। এ শহরটিতে নিয়ে আরো গোছালো এবং পরিকল্পিত চিন্তা ভাবনা করা হলে এর পর্যটন সম্ভাবনা শতভাগ কাজে লাগানো যাবে। চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা লিজা বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরুপ। যা আমাকে খুবই মুগ্ধ করেছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটক এবং শহরবাসী নানা কাজের ব্যস্ততার মাঝে একবিন্দু অবসরে ছুটে আসছেন রাঙ্গামাটিতে। পর্যটকদের জন্য মনোমুগ্ধকর কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ছাড়াও পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকায় হ্রদের ধারে দুই পাহাড়ের মাঝখানে স্থাপিত আর্কষনীয় ঝুলন্ত সেতু, সুভলং ঝর্ণা, ডিসি বাংলো, পুলিশ পলওয়েল পার্ক, রাজবন বিহার, পৌর পার্ক,কাপ্তাই নেভী ক্যাম্প উপজাতীয় জাদুঘর,চাকমা রাজবাড়ী কিংবা অসামবস্তী-কাপ্তাই সড়কের বরগাঙ এর অপরুপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে।
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত আহসানুজ্জামান বলেন, বেড়ানোর জন্য রাঙ্গামাটি অসাধারন একটি স্থান। এখানকার কাপ্তাই হ্রদের অপরুপ সৌন্দর্য দুচোখ ভরে গেছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে বাস-মাইক্রো-জিপ আর নানা গাড়ীতে আসছেন পর্যটক। বনরুপায় অবস্থিত হোটেল নীডস হিল ভিউ’র ব্যবস্থাপক মো:লুৎফর বলেন,আগের তুলনায় এখন মোটামুটি রুম বুকিং চলছে। আশাকরি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মন্দাভাব কাটিয়ে উঠা যাবে। তবে বর্তমানে এ সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এদিকে, রাঙ্গামাটি সরকারী পর্যটন কর্পোরেশনের ইজারা নেয়া পর্যটন নৌ-যান ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী বলেন, কয়েকদিন আগে পর্যটন সেতু ডুবে যাওয়ায় আমরা চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু ব্রিজের উপরের পানি কমে যাওয়ায় পর্যটন কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় পর্যটকদরে সমাগম হতে শুরু করেছে।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে বেড়াতে আসা সালাউদ্দিন জানান, সরকারী বা বেসরকারী উদ্যোগে হোক এ পর্যটন স্পটগুলোকে যদি আরো নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয় তাহলে ভবিষ্যতে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে। এ প্রসঙ্গে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে মোটেলে আশি ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। আমাদের এখানে আগামী ২ দিন পর্যন্ত বুকিং আছে। তিনি বলেন, এছাড়াও পর্যটনের স্পটগুলোতে দৈনিক আড়াই থেকে তিন হাজার পর্যাটকের সমাগম হচ্ছে।
রাঙ্গামাটির এ নয়নাভিরাম স্পট সত্যিই যেনো পর্যটককে কাছে টানে। শিহরিত করে তোলে স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের জলে নৌ-বিহারের মতো রোমাঞ্চকর নৌ-ভ্রমণ।