তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চলছে : আইনমন্ত্রী

696

ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনতে যাদের সঙ্গে জন্য যে ধরণের আলোচনার প্রয়োজন সেই আলোচনাই চলছে।
আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপযায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এব্যাপারে পজিটিভ দিক দেখছি বলেই আলোচনা চলছে। ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এটা ফলপ্রসু হচ্ছে কিনা সেটা কিন্তু আমি বলবো না।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে দু’দফায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রী সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ সংশোধনীর প্রস্তাব সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে উত্থাপনে প্রস্তুতি রয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৭ খসড়া অনুমোদন হওয়ার পরে এটা এখন তিনটা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ আলোচনায় আছে। মূলত আইনটি ভেটিং পর্যায়ে আছে।
তিনি বলেন, যেহেতু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। সেহেতু আমরা এ আইনটা নিয়ে সকল স্টেক হোল্ডাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি। তিনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালকদের শাস্তির বিষয়টি ফোকাস হয়নি এটা ঢালাওভাবে বলা যাবে না তার কারণ সরকার চেষ্টা করছে সড়ক পরিহবনে এ টু জেড সব কিছু দেখছে। বিষয়টি হচ্ছে দুর্ঘটনা হলে কি হবে। দুর্ঘটনা যাতে না হয় সে জন্য তিন চারটা জিনিস দেখতে হয়। চালকদের প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স প্রাপ্তি ও গাড়ির ফিটনেসের বিষয় ও তারপর বিষয় হচ্ছে রাস্তা। সেই সব দিক দেখে এটাকে একটা পরিপূর্ণ আইন করার জন্য সময় লাগছে। এমন না যে এখন কোন আইন নাই। যুগ উপযোগী আইন করতে একটু সময় লাগছে।
আইনমন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত যা কিছু আছে সব কিছুকে কিন্তু এই আইনের মাধ্যমে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত ও দুঃখিত। আমি শুধু এটাই বলবো এগুলোর মামলা যখন আদালতে আসবে তখন অত্যন্ত পক্ষে এটুকু নিশ্চিত করবো শাস্তির মাধ্যমে যাতে সতর্কতা বৃদ্ধি হয়। যেই শাস্তি দেয়া হবে চালক মালিকরা যাতে বুঝতে পারে এ রকম অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। এমন অপরাধ করলে বিচার বিভাগ যথার্থ সাজা তাদেরকে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।