বাসস দেশ-৫ : খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার প্রশ্নে আদেশ ২০ সেপ্টেম্বর

157

বাসস দেশ-৫
আদালত-আদেশ
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার প্রশ্নে আদেশ ২০ সেপ্টেম্বর
ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচার কাজ চলবে কি না এবং তার জামিন বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়ে ২০ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন।
এছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। এ বিষয়ে বিচারক বলেন, জেলকোড অনুযয়াী কারা কর্তৃপক্ষই সাক্ষাৎ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। মামলার অন্য দুই আসামী জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনির ইসলাম খানের পক্ষে শুনানি করেন আমিনুল ইসলাম ও আকতারুজ্জামান। দুই আসামিই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে বলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি আর আদালতে হাজির হতে পারবেন না। তার আইনজীবীরাও সেদিন উপস্থিত হননি আদালতে। গতকাল মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন জানানো হয় যে, আদালতে হাজির হতে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এ মামলাকে কেন্দ্র করে কারাগার এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পুরাতন কারাগারের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় আশপাশের দোকানপাট। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
উল্লেখ্য, ৪ সেপ্টেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিভাগ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার সম্পন্ন করতে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত ¯’াপন করে গেজেট প্রকাশ করে। গেজেটে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর-৭ কে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামী হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়ে পুরতান কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করছেন বেগম খালেদা জিয়া।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৪৫০/এমএসআই