বাসস দেশ-১১ : নির্বাচনকালীন সময়েও চট্রগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলমান রাখতে গুরুত্ব প্রদান সংসদীয় কমিটির

120

বাসস দেশ-১১
সংসদীয় কমিটি – বৈঠক
নির্বাচনকালীন সময়েও চট্রগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলমান রাখতে গুরুত্ব প্রদান সংসদীয় কমিটির
ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নির্বাচন কালীন সময়েও যাতে চট্রগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকে সেবিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির এক বৈঠকে এ গুরুত্ব দেয়া হয়। দশম জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এটি ছিল ৫৮তম বৈঠক।
কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল হাই, মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, মোঃ হাবিবর রহমান, এম আব্দুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, মোঃ আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে,চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) কার্যক্রম ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়,এনসিটি ইক্যুপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৫১টি ইক্যুপমেন্টের মধ্যে সম্প্রতি রেল মাউন্টেন্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ ১০টি হ্যান্ডলিং ইক্যুপমেন্ট সংগৃহীত হয়েছে। এছাড়া ভোজ্য তেল খালাস করার জন্য নির্মিত হয়েছে নতুন জেটি ডলফিন অয়েল জেটি-৩, যার ফলে চবক’র সার্বিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয় যে, ২০২৫ সালের প্রক্ষেপন কে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের গৃহীত প্রকল্পসমূহের মধ্যে ওভার ফ্লো কন্টেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনালে ডেলিভারি ইয়ার্ড এবং পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে, লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনাল ২০২১ সালের মধ্যে, বে-টার্মিনাল ফেইজ-১ ২০২৩ সালের মধ্যে এবং মাতার বাড়ি পোর্ট এর কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উইন্ড পাওয়ার কে ব্যবহার করা যায় কিনা তা পর্যালোচনা করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৭৪০/কেকে