মাগুরায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন ধান চাষ

523

মাগুরা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮(বাসস) : জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার চার উপজেলায় ৫৭ হাজার ৮৬৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমান ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সেখানে চাষ হয়েছে ৫৮ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৬৩ হেক্টর বেশি।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় চাষ হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে, শ্রীপুর উপজেলায় ১১ হাজার ৭০ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৬০হেক্টর ও মহম্মদপুর উপজেলায় ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এসব চাষকৃত জমি থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার ১৬৩ মেট্রিক টন চাল উৎপানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে , এ বছর সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ হাতের নাগালে পাওয়ায় কৃষকরা ভালোভাবে রোপা আমন ধান চাষ করতে পেরেছে। চলতি মৌসুমে বিরি ধান -৫৯,৫৭,৬২,৩৯,৩৩, বিনা ধান-৭,বিআর ধান-১১, জিএস ধান-১,গুটি স্বর্ণ ধানসহ বিভিন্ন জাতের উচ্চফলনশীল রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। ধান চাষ সফল করতে আধুনিক চাষ পদ্ধতির বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের নানা ভাবে পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
এ বছর ধান চাষ সফল করতে জমিতে লাইন সুইং পদ্ধতিতে ধান লাগানো, গুটি ইউরিয়াসহ জৈব ও সুষম সারের সঠিক মাত্রায় ব্যবহার, ধানের জমিতে গাছের ডাল গেড়ে পারচিং বা দাঁড় পদ্ধতিসহ আধুনিক চাষ পদ্ধতির ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমন ধানের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
মাগুরা সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের কৃষক ছুরমান হোসেন এ বছর ৬ বিঘা জমিতে বিরি ধান-৬২ ও গুটি স্বর্ণ জাতের ধান চাষ করেছেন। তিনি জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এ বছর জমিতে ধান লাগাতে লাইন সুইং পদ্ধতি, গুটি ইউরিয়ার ব্যবহারসহ অধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছেন। চাষকৃত জমি থেকে ১০০ থেকে ১২০ মণ ধান পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
সদর উপজেলার মঘি গ্রামের অপর কৃষক নবির হোসেন জানান, তিনি সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে মিনিকেট, গুটি স্বর্ণ ও বিরি-৬২ ধানের চাষ করেছেন তিনিও ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। সময় মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা ভালোভাবে ধান চাষ করতে পেরেছেন। ধান চাষ সফল করতে কৃষকদের আধুনিক চাষ পদ্ধতি সর্ম্পকে পরামর্শ দেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ বছর জেলায় আমন ধানের ভালো ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।