বাজিস-৯ : কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে পানি বাড়ছে : পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু

149

বাজিস-৯
কুড়িগ্রাম-নদ-নদী
কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে পানি বাড়ছে : পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু
কুড়িগ্রাম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : জেলার ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদ-নদীর অববাহিকায় ২০টি ইউনিয়নের অর্ধশত চরগ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এক হাজার পরিবারের ৫ হাজার মানুষ। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের মাস্টারের হাট এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে আব্দুস ছাত্তার নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলায় ১২৩ সে.মি. ব্রহ্মপুত্রে ৭ সে.মি. ও দুধকুমারে ২০ সে.মি. ও তিস্তায় ৩৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। ধরলা নদীর অববাহিকার হলোখানা, ভোগডাঙা, মোঘলবাসা, বড়ভিটা, শিমুলবাড়ি, বেগমগঞ্জ, পাঁচগাছিসহ ২০টি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। এসব এলাকার ৫ শতাধিক হেক্টর আমন ক্ষেতসহ সবজি, পাট, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে সদর উপজেলার সারোডাব, মোঘলবাসা, যাত্রাপুর, ভোগডাঙা, উলিপুরের থেতরাই, চিলমারীর জোড়গাছ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। সারোডোব এলাকায় ধরলার তীব্র ভাঙনে ২৪ ঘন্টায় ৫টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো ২০-২৫টি পরিবার। তিস্তার ভাঙনে উলিপুরের নাগরাকুড়া টি বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে এবং হোকডাঙা গ্রামটি বিলীনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে ধরলা ও তিস্তায় পানি বেড়েছে। উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আমিন আল পারভেজ, জানান, নদ-নদীর পানি বাড়ার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬১৫/-মরপা