বাজিস-৬ : পিরোজপুরে ৩শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ

142

বাজিস-৬
পিরোজপুর-আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ
পিরোজপুরে ৩শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ
পিরোজপুর ১১ সেপ্টেম্বর, (বাসস) : উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে আরও ৫০টি বিদ্যালয় কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে উপকূলবাসীর জানমাল রক্ষার লক্ষ্যে এসব বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় ৯ জেলায় ৫শ’ ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের অংশ হিসেবে পিরোজপুর জেলার ৭ উপজেলায় এসব কেন্দ্র ভবন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। চলতি মাসেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
পিরোজপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফিল্ড রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সৌরেন সরকার জানান, এ জেলার ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ১৭৫ কোটি টাকা। ত্রিতল এসব ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ফাকা থাকবে। প্রথম তলায় গবাদি পশু, হাস-মুরগী, মালামাল রাখার সু-ব্যবস্থার পাশাপাশি দ্বিতীয় তলায় দুর্যোগের সময় নারী-পুরুষ-শিশু আশ্রয় নিতে পারবে। প্রতিটিতে ৭ শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু ধারণ ক্ষমতার এসব ভবনে খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ অন্যান্য কাজে ব্যবহারে জন্য অগভীর নলকূপ, বাথরুম এবং পানি উঠানোর মটর বসানো হবে। রাতের বেলা সৌর বিদ্যুতের আলোতে এসব ভবন আলোকিত হবে। দুর্যোগবিহীন সময় এসব ভবনের প্রথম তলা ও দ্বিতীয় তলা ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরে ৫ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি এবং সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া এ এলাকার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাম সাইক্লোন সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাওয়া ৫০টির মধ্যে ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৭টি, নেছারাবাদে ৬টি, ইন্দুরকানীতে ৭টি, কাউখালীতে ৫টি, মঠবাড়িয়ায় ১৭টি এবং পিরোজপুর সদরে ৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ৫০টির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ জেলায় বর্তমান সরকারের ১০ বছরে ৩০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা দাড়াবে ৯৫টিতে। পিরোজপুরের এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জন রায় জানান, প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে যথাযথভাবে তদারকি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ঠিকাদারদের কাজের ব্যাপারে কোন ধরনের গাফিলতি বা অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১২১০/নূসী