আমতলী ও বরগুনা পৌরসভায় উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বেড়েছে

261

বরগুনা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বিদ্যুত সরবরাহ চালু থাক বা না থাক সড়কের বাতি নেভে না। শহরের মধ্যে চওড়া রাস্তা। উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পানি সরবরাহের জন্য ওভারহেড টানির ট্যাংক। নাগরিক সুবিধা বাড়াতে নানা উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে বরগুনা ও আমতলী পৌর এলাকায়।
আমতলী পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের যেখানে যেমনটা প্রয়োজন সে অনুযায়ী বিদ্যুত ও সৌর বিদ্যুতের আধুনিক এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। শহরের ভিতরের বিভিন্ন রাস্তা উঁচু ও চওড়া করা হয়েছে। তৈরি করা হচ্ছে আরও দুটি ওভারহেড পানির ট্যাংক। যে কোন দুর্যোগে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকলেও নিয়মিত পানি সরবরাহের জন্য বৃহদাকার জেনারেটরও এসে গেছে। আধনিক পৌরভবনের কাজ প্রায় শেষের পথে। পৌরভবনের সামনে শোভা পাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। আধুনিক পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা ও মাল্টিপারপারস মার্কেটের কাজ চলছে। এমনই প্রায় শতাধিক কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে আমতলী পৌরসভায়। এর মধ্যে ৪২ কোটি টাকার উপকূলীয় পরিবেশগত শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ২২ কোটি টাকার বিএমডিএফ, ৫ কোটি টাকার বিসিসিটিএফ, ৭ কোটি টাকার এডিপি প্রকল্প উল্লেখযোগ্য বলে জানিয়েছেন আমতলী পৌরসভার প্রশাসিনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে সাইক্লোন শেল্টার, টিউবওয়েল, ব্রিজ-কালভার্ট, পাবলিক টয়লেট, অডিটোরিয়াম, ঈদগাহের উন্নয়ন প্রভৃতি।
বরগুনা পৌরসভায়তেও এ জাতীয় নানা উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। বরগুনার পৌর মেয়র মো. শাহাদত হোসেন জানিয়েছেন, বরগুনা পৌরসভায় বর্তমানে ৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ধীন। এ কাজগুলোর শতকরা ৬০ ভাগ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেনে, নাগরিক সুবিধা বাড়াতে পৌরসভার উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকবে।
আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, তার আমলে আমতলী পৌরসভাকে ১ম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। জেলার মধ্যে আমতলী পৌরসভাকে তিনি একটি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত মডেল পৌরসভা রূপে গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছেন। তার উদ্যোগে পৌরভবনের সামনে জাতির জনকের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। পৌরসভার উদ্যোগে আমতলী একে স্কুল হতে নতুনবাজার পর্যন্ত শহরের প্রধান সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু সড়ক’ হিসেবে। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, অবদান তুলে ধরতে এ প্রয়াস বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
আমতলী পৌর শহরের প্রধান সড়ক ‘বঙ্গবন্ধু সড়ক’র জামে মসজিদ থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত পশ্চিম পাশের অব্যবহৃত পতিত জমি স্থানীয় বেকার ও উদ্যোমী যুবকদের লিজ দিয়েছে জেলা পরিষদ। সেখানে তারা অস্থায়ী ঘর তুলে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। এলাকাটি জমজমাট হওয়ার কারণে তার অর্থনৈতিক গুরুত্বও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ বলে জানিয়েছেন কলেজ শিক্ষিকা ও জেলা পরিষদ সদস্য শাহিনূর তালুকদার। প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার দীর্ঘ এ মার্কেটটির নামকরণ ‘শেখ রাসেল মার্কেট’ করেছেন বরগুনার বর্তমান জেলা চেয়ারম্যান।
জেলা চেয়ারম্যান ও বরগুনা ১ আসনের সাবেক সাংসদ মো. দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রথমে মার্কেটটিকে তার নামে দোলোয়ার হোসেন মার্কেট হিসেবে পরিচিতি দেয়া শুরু করেছিল। পৌরকর্তৃপক্ষ সড়কের নাম সদর রোড থেকে ‘বঙ্গবন্ধু সড়ক’ করায় এ সড়কে অবস্থিত মার্কেটটির নাম তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে পরিবর্তন করে ‘শেখ রাসেল মার্কেট’ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে বিনয়ের সাথে সম্মান দেখানো প্রতিটি নাগরিকের শিষ্টতা। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বরগুনাতেও আমাদের জীবনে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে।