বাসস দেশ-১১ : পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন থেকে পালানোর পথ খুঁজছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

131

বাসস দেশ-১১
কাদের-সফর-সংবাদ সম্মেলন
পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন থেকে পালানোর পথ খুঁজছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
সৈয়দপুর (নীলফামারী), ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে নাশকতা করে নির্বাচন থেকে বিএনপি পালিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের মধ্যে কোন অসন্তোষ নেই। শনিবার ঢাকা থেকে নীলফামারী পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ট্রেন যাত্রায় মানুষের ঢল তা প্রমাণ করেছে। পূর্ব নির্ধারিত পথসভাগুলো জনসভায় পরিণত হয়েছিল।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে সরকার পতনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন নাশকতা করার জন্য দেশে বিদেশে বৈঠক করছে। আওয়ামী লীগের ট্রেনযাত্রায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাদের হেরে যাওয়ার বিষয়টি প্রবল হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দলের ট্রেন সফর শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনে তফশিল ঘোষনার আর মাত্র দেড় মাস বাকি রয়েছে। এ সময় দেশে কোন অস্থিরতা নেই। আর বিএনপির রাজনীতি প্রতিপক্ষের বিষোদগারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিএনপি গত দশ বছরে দশ মিনিটের জন্যও কোন আন্দোলন করতে পারেনি। তারা কোটা বিরোধী ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করেছিল। কিন্তু সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।
কাদের বলেন, দেশের বিরোধীদল হওয়ার জন্য যে যোগ্যতা থাকতে হয় বিএনপির সে যোগ্যতাও নেই। আর দেশের মানুষ বিএনপিকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত করবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা কবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং এই মন্ত্রিসভার আকার কি হবে সংবিধান অনুযায়ী তা দেখার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
তিনি বলেন, তবে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার বর্তমান মন্ত্রিসভার মতো আকারে এত বড় হবে না। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ের মত এই মন্ত্রিসভার আকার ছোট হবে।
মন্ত্রিসভার কিছু সদস্য নির্বাচনকালীন সরকার থেকে বাদ যাবেন উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, সংসদে যে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব নেই সেই সকল দলের নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকার কোন সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঢাকা থেকে নীলফামারী পর্যন্ত জনগণের যে সাড়া পেয়েছি তা সত্যি অচিন্তনীয় বিষয়।
ট্রেনযাত্রা নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ নিয়ে একটি খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত নীল সাগর এক্সপ্রেসে যাত্রীদের দুর্ভোগ হওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। কারণ যাত্রীরা পথে পথে নেমে গেছে। দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশনে পথসভাটি বিশাল জনসভায় পরিণত হয়েছিল। সেখানে তো কোন যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হয়নি।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন, আমরা আমাদের উন্নয়নের প্রচার করব ও দলকে আরো সুসংগঠিত করব, সেটাই স্বাভাবিক।
শনিবার সকালে ঢাকা থেকে নীলফামারী পর্যন্ত নীলসাগর ট্রেনের বিভিন্ন স্টেশনে পথসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এ সকল পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের এ ট্রেনযাত্রায় ১১টি সমাবেশের কথা উল্লেখ থাকলেও প্রায় ১৮টি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের। পথসভায় তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, নারীর ক্ষমতায়ন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠানো, হাতে হাতে মোবাইল, ডিজিটাল ইউনিয়ন সেবাকেন্দ্র, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের সুফল হিসেবে দেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ ও বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।
বাসস/এএসজি/এমএএস/১৭৫০/কেকে