পিরোজপুর, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১শ’টি দ্বিতল ভবন নির্মাণের কাজ গত মাসেই শেষ হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
সিডর আইলাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকির মধ্যে থাকা পিরোজপুর জেলার দরিদ্র জনগণের স্বার্থে প্রাথমিকভাবে ভান্ডারিয়া, কাউখালী এবং ইন্দুরকানী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১শ’টি গৃহ নির্মাণ করা হয়। ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া, নদমূল্লা, ইকড়ি, তেলিখালী, ধাওয়া, ভান্ডারিয়া সদর ও গৌরিপুর ইউনিয়নে ৬০টি কাউখালী উপজেলার সয়না, আমরাঝুড়ি, কাউখালী সদর, চিরাপাড়া ও শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ২৫টি এবং ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া, পত্তাসি ও পাড়েরহাট ইউনিয়নের ১৫টি মিলে মোট ১শ’টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিজস্ব জমিতে তৈরি এ ভবনে রান্নঘর ১টি, বাথরুম ১টি ছাড়াও ১২ ফুট ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ১০ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রস্থের ২টি শয়ন কক্ষ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন দরিদ্র পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে এ গৃহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এদিকে এ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় আরও ৫০টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ৫০টির মধ্যে ৪০টি নির্মিত হচ্ছে ভান্ডারিয়ায়, ৭টি কাউখালীতে এবং ৩টি ইন্দুরকানীতে। এ ৫০টি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৮-’১৯ অর্থ বছরে এ ৫০টি গৃহনির্মাণ শেষ করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যেই নির্মাণ কাজের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জন রায় বাসস’কে জানান, এ গৃহসমূহ সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড় সহনীয় ও জলোচ্ছ্বাস, বন্যাসহ সকল প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনীয় এবং এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের টেকসই পুনর্বাসন নিশ্চিত হয়েছে।