বাসস ক্রীড়া-১১ : শ্রীলংকার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কাল, প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ

115

বাসস ক্রীড়া-১১
ফুটবল-সাফ-শ্রীলংকা-মালদ্বীপ-প্রিভিউ
শ্রীলংকার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কাল, প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ
ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : চলমান সাফ সুজুকি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ‘বি’-গ্রুপে নিজেদের মহাগুরুত্বপুর্ন ম্যাচে শ্রীলংকা কাল মোকাবেলা করবে মালদ্বীপের। ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের বিপক্ষের এ ম্যাচটি শ্রীলংকার জন্য মরা-বাঁচার লড়াই। তিন দলের এই গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে নিজাম পাকির আলীর শিষ্য লংকান দলটি। ফলে কালকের ম্যাচে জয় না পেলেও হারা যাবেনা লংকানদের। হেরে গেলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে তাদের।
তবে যদি ড্র করে তাহলে অন্তত ভাগ্যের সহায়তা নিয়ে জটিল সমীকরণ পেরিয়ে সেমি-ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে শ্রীলংকা। সে ক্ষেত্রে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে বেশী গোলের ব্যবধানে হারতে হবে মালদ্বীপকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে দিনের একমাত্র ম্যাচটি।
তবে সমীকরণ নিয়ে ভাবতে রাজি নন লংকান কোচ পাকির আলী। তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রুপটা অনেক শক্তিশালী। ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে আমরা হেরেছি। মালদ্বীপের বিপক্ষে আগামীকাল আমাদের জিততেই হবে। দলটি যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে জয়ের জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।’
এদিকে তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে এবারের সাফ খেলতে এসেছে মালদ্বীপ। যদিও দলটির অনেক সাফল্যের নায়ক, অভিজ্ঞ আলী আশফাককেও এবার দলে রাখেননি ক্রোয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত মালদ্বীপের জার্মান কোচ পিটার সেগার্ট।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে এই টুর্নামেন্টে এগিয়ে আছে ভারত। তবে তাদের আমি ফেভারিট বলবো না। আমার মতে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সাত দলই ফেভারিট। আমাদের গ্রুপে ভারতের পাশাপাশি শ্রীলংকাও আছে। গত কয়েক মাস ধরে তাদের ফুটবল অনেক উন্নতি করেছে। প্রীতি ফুটবল ম্যাচে তারা স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়েছে। তাদের দলটাও তারুণ্যনির্ভর। তাই ম্যাচটি বেশ কঠিন হবে।’
ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মূলত তরুণদের ঝালিয়ে নিতে সাফে এসেছে মালদ্বীপ। তারপরও দলটি নিয়ে আশাবাদী কোচ পিটার। তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপ তারুণ্যনির্ভর দল। এই দলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমি এখানে এসেছি সেরাটা মেলে ধরতে। ছেলেরা খুবই উজ্জীবিত। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভাল। এখন মাঠে প্রমাণ করতে চাই।’
সাফে সর্বোচ্চ ২০ গোলের মালিক আশফাকের বাদ পড়া প্রসঙ্গে পিটার সেগার্ট বলেন, ‘আলী আশফাক অসাধারণ ফুটবলার। যে কোনো কোচই তাকে নিতে চাইবেন। কিন্তু আমার কৌশলগত পরিকল্পনায় সে পড়েনি। তাই তাকে আমি দলে নিইনি। তবে তার জায়গায় যে খেলবে, সেও দুর্দান্ত।’
সাফ ফুটবলে দু’দলেরই শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা আছে। ১৯৯৫ সালে দ্বিতীয় আসরে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলংকা। আর ২০০৮ সালে সপ্তম আসরে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে মালদ্বীপ। তারাও ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিল। দল দুটি এ পর্যন্ত ১৮ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। এতে মালদ্বীপের ৭ জয়ের বিপরীতে লংকানদের জয় মাত্র ৩টি। বাকি ৮ ম্যাচ ড্র হয়েছে।
বাসস/এএসজি/এমএইচসি/১৭২৫/-স্বব