রাজশাহী বিভাগে ২২৬০.১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিডাব্লিউডিবি’র প্রকল্প বাস্তবায়ন

386

রাজশাহী, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিডাব্লিউডিবি) ২২৬০.১৪ কোটি টাকা রাজশাহী বিভাগের সুষ্ঠ পানি সম্পদের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনার আওতায় মোট আটটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
বিডাব্লিউডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান জানান, রাজশাহী মহানগরকে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
নদী তীরের ৪ দশমিক ৯০৫ কিলোমিটার সুরক্ষা ও তিনটি গ্রোইন পুনরুদ্ধারে ২৬৮ দশমিক ১৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এলাকা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে।
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পদ্মানদীর তীর নতুন রূপ ধারন করতে শুরু করবে। সুরক্ষার পরিকল্পনা পুরোপুরি সাফল্য এলে গোটা অঞ্চল বিনোদন পার্কে রূপান্তরিত হবে। নদী অঞ্চলের ছয় কিলোমিটার এলাকার খনন কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে চারপাশে রাবার বাঁধ নির্মাণে ১৫৯ দশমিক ৯৭ কোটি টাকার বড় প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
বাঁধ নির্মাণের অধিক, ৩৬ দশমিক ০৫ কিলোমিটার নদী এলাকা খননের আওতায় আনা হয়েছে। এ প্রকল্পের নাম ‘রাবার ড্যাম নির্মাণ ও মহানন্দা নদী খনন’। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৭ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে।
বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার আওতাধীন কুর্নিবারি থেকে চন্দনবিশা পর্যন্ত যমুনা নদীর অববাহিকা রক্ষাসহ বিকল্প অববাহিকা নির্মাণের একটি প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
৩১ দশমিক ৭০ হেক্টর অর্জিত ভূমি ও পাঁচ দশমিক নয় কিলোমিটার নদী অববাহিকা রক্ষার ৩৩৩ দশমিক ৩৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পটির শতকরা ৮৫ ভাগ কাজ গত জুলাই মাসে সম্পন্ন হয়েছে অবশিষ্ট কাজ আগামী জুন মাস নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।
বিডাব্লিউডিবি’র প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আলী বাসসকে জানান, যমুনার ভাঙ্গনের শিকার সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার আওয়তাধীন ‘খুদবাঁদি, সিংরাবারি ও শুভাডাঙ্গা এলাকা রক্ষা’- প্রকল্পের কাজ শতকরা ৩০ ভাগ শেষ হয়েছে।
৪৬৫ দশমিক ৪৬ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায়, ১৩ দশমিক ৫ হেকটর ভূমি পুনরুদ্ধার, চার কিলোমিটার নদী তীর সুরক্ষা, ৪০ কিলোমিটার নদী তীর সুরক্ষায় দুটি স্পার নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে।
এছাড়াও ১৮ কিলোমিটার নদী অঞ্চল খননের আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও ‘যমুনা নদী থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার ও সিরাজগঞ্জ জেলার প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নামে দুটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে।