বাসস দেশ-১১ : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর

144

বাসস দেশ-১১
খালেদা-মামলা
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর
ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আজ প্রথমবারের মতো আদালতের কার্যক্রম অনুষ্টিত হয়। আজ আধা ঘণ্টারও কম সময় আদালতের কার্যক্রম চলার পর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করে আদেশ দেয়। মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলেই রায়ের জন্য তারিখ ধার্য হবে বলে জানায় আইনজীবীরা।
আজ বেলা সোয়া ১২টার দিকে কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে এজলাস কক্ষে হাজির করা হয়। খালেদা জিয়াসহ এ মামলার তিন আসামীকে এজলাসে হাজির করা হলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কেউ না আসায় বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা এ মামলার শুনানি আজ শুরু করা যায়নি।
এ মামলার শুনানি এতদিন চলছিল ঢাকার বকশীবাজারে উমেষ দত্ত রোডের আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ এজলাসে। নিরাপত্তার কারণে গতকাল মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে আদালত ঘোষণা করে। এ কারাগারেই গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দন্ডিত হয়ে সাজা ভোগ করছেন বেগম খালেদা জিয়া। ওই মামলায় তাকে পাঁচবছর সাজা দিয়ে রায় দেয় আদালত।
আজ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সকাল ১০টার দিকেই নতুন আদালত কক্ষে হাজির হন। দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, ঢাকা মহানহর আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু, এডভোকেট শাহআলম তালুকদার উপস্থিত হন।
এ মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানকে আদালতের কার্যক্রম শুরুর আগেই আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত করা হয়। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং নতুন করে আদালতের স্থান নির্ধারণের প্রেক্ষিত তুলে ধরে বলেন, মঙ্গলবার এই সংক্রাস্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে প্রজ্ঞাপনের কপি পাঠানো হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবেও তাদের ফোন করে জানিয়েছি।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিল দুদক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী এবং হারিছের তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।
বাসস/এএসজি/ডিএ/কেসি/১৮০০/কেজিএ