বাজিস-৮ : হাইমচরে অসহায় ৩০ পরিবার পেলো সরকারি পাকা ঘর

131

বাজিস-৮
চাঁদপুর-সরকারি ঘর
হাইমচরে অসহায় ৩০ পরিবার পেলো সরকারি পাকা ঘর
চাঁদপুর, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার হাইমচর উপজেলায় ত্রাণও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘর পেলো ৩০ অসহায় পরিবার।
হাইমচর উপজেলায় অধিকাংশই পরিবারই একাধিকবার মেঘনার ভাঙনের শিকার। তাদের অনেকেরই থাকার ঘর ছিলো না।
সম্প্রতি হাইমচর উপজেলার কমলাপুর, ছোট লক্ষ্মীপুর, বরভৈরবী, চরভাঙ্গা ভিঙগুলিয়া, পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর ও উত্তর আলগী গ্রামে ঘুরে একতলা নির্মিত এসব পাকা ঘরগুলো দেখা গেছে। এসব ঘরগুলো একটি পরিবার থাকার জন্য যে পরিমাণ কক্ষ এবং আনুষাঙ্গিক সুবিধা প্রয়োজন সব সুবিধাই রয়েছে।
আর এসব অসহায় ও দরিদ্র ৩০ পরিবারকে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। যা বিগত কোন সরকারই করে দিতে পারেনি বলে জানিয়েছে সুবিধাভোগীরা। পাকা ঘর পেয়ে আনন্দিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হাইমচরের এসব পরিবারের লোকজন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, এসব ঘর নির্মাণ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। ৩০টি পাকা ঘর ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এফএমআর, সেজুতি এন্টারপ্রাইজ, সোহেল সর্দার, নান্নু পাটওয়ারী, সুজন পাটওয়ারী ও সুমন সর্দার নিয়মানুযায়ী পৃথকভাবে ৪-৫টি করে ঘর নির্মাণ কাজ করেছেন।
সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরা জানান, তাদের সম্পত্তি থাকলেও ঘর করার সামর্থ ছিলো না। আবার অনেকের উপার্জন করারমত কোন লোকও নেই। এসব কারণে সম্পত্তি তাদের কিন্তু সরকার তাদেরকে বসবাস করার জন্য এসব পাকা ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। তারা ঘর পেয়ে মহাখুশি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তারা আরো জানান, বিগত সরকারগুলো হাইমচরের নদী ভাঙনের শিকার মানুষের জন্য কাজ করলেও স্থায়ীভাবে মেঘনা ভাঙনরোধে কাজ করেনি। বর্তমান সরকার মেঘনার ভাঙন রক্ষায় বাঁধ ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদেরকে এসব সহযোগিতার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন।
জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন সুমন জানান, উপজেলা পরিষদ যারা এসব ঘর পাওয়ার মত যোগ্য তাদেরকেই র্নিধারণ করেছেন। বর্তমানে তারাই সরকারের এসব ঘরে বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী জানান, সরকার নদী ভাঙন এলাকায় কিংবা ছিন্নমূল পরিবারের জন্য ৩টি ক্যাটাগরিতে বসত ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। যাদের সম্পত্তি ও ঘর নেই তাদেরকে গুচ্ছ গ্রামে, যাদের সম্পত্তি আছে ঘর নেই ঘর করেছে দিয়েছেন। আবার যাদের সম্পত্তি আছে ঘরগুলো খুবই নাজুক তাদের ঘর করে দিচ্ছেন। যাদের সম্পত্তি আছে ঘর নেই হাইমচরে এ ধরনের পরিবারগুলোকে ঘর করে দিচ্ছেন।
বাসস/সংবাদদাতা/রশিদ/১৪৫০/নূসী