বাসস দেশ-৫৮ : সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বন্ধুত্ব স্থাপন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম লক্ষ্য : কে এম খালিদ

160

বাসস দেশ-৫৮
খালিদ-সাংস্কৃতিক
সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বন্ধুত্ব স্থাপন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম লক্ষ্য : কে এম খালিদ
ঢাকা, ১৭ জুন, ২০২১ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সাংস্কৃতিক চুক্তি ও বিনিময়ের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিদেশের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪৪টি দেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এছাড়া আরও ৩৭টি দেশের সাথে সাংস্কৃতিক চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত‘ ঢাকা ওআইসি ইউথ ক্যাপিটাল ২০২০-২১ বঙ্গবন্ধু ইউথ আর্ট কমপিটিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৯টি সাংস্কৃতিক দলকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয় এবং ৯টি সাংস্কৃতিক দল বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশে আসে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের স্থানীয় ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন যুবপ্রেমী, গতিশীল ও দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উন্নয়নের ধারায় অনেকদূর অগ্রসর হয়েছি ও উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছি। এ যাত্রায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উন্নত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সহযোগিতা ও বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সক্ষম যুবশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সচেষ্ট রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক কোপরেশান ইউথ ফোরাম আইসিওয়াইএফ এর প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান । স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
উল্লেখ্য, ওআইসির আওতাধীন সদস্য দেশসমূহ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৮-৩৫ বছর বয়সী মোট ৩৩৫ জন শিল্পী রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করেছেন। শিল্পীরা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁদের নির্ধারিত চিন্তাভাবনা ও কল্পনা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, করোনা মহামারি, শরণার্থী সংকটে মানবতা, প্রযুক্তিতে তারুণ্যের জোয়ার, ইসলামের ইতিহাস, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় অনুসরণ করেছেন। প্রদর্শনীতে আগামীকাল থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত একটি ভার্চুয়াল গ্যালারির মাধ্যমে ক্যালিগ্রাফী, সমকালীন চিত্রকলা, গ্রাফিক ডিজাইন ও আলোকচিত্র মাধ্যমের মোট ১০০টি নির্বাচিত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি বাংলাদেশী। সমগ্র বিশ্বকে বাংলাদেশ, এশিয়া এবং বাকি বিশ্ব -এ তিনটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে।
সম্মানিত জুরিগণ প্রতিটি অঞ্চল থেকে প্রতিটি মাধ্যমে ৩ ধরণের আঞ্চলিক পুরস্কার এবং সারা বিশ্ব থেকে চারটি মাধ্যমে ৪টি গ্র্যান্ড পুরস্কার নির্বাচন করেছেন। আঞ্চলিক পুরস্কারগুলিকে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কারে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে যার প্রতিটির মূল্যমান যথাক্রমে ৫০০, ৩০০ ও ২০০ ইউএস ডলার ও ১টি সনদপত্র এবং প্রতিটি গ্র্যান্ড পুরস্কারের মূল্যমান ২৫০০ ইউএস ডলার ও ১টি সনদপত্র।
বাসস/সবি/কেসি/২২৫০/এবিএইচ