বাংলাদেশ-কোরিয়া বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে ওয়েবিনার

1103

ঢাকা, ১৭ জুন, ২০২১ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল বুধবার ‘বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া: বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ’ বিষয়ক ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তি, ওষুধ ও বায়োটেক শিল্প এবং এসব খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের সচিব সুলতানা আফরোজ, বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষের (বেপজা) প্রধান নির্বাহী বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন বরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত যেমন, তথ্যপ্রযুক্তি ও ওষুধ শিল্প খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিন বক্তব্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরেন। একইসাথে তিনি সম্ভাবনাময় খাতসমূহে আরো বিনিয়োগের জন্য দু’দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে কোরিয়া ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হং কায়ং হি, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হাং হি জো এবং ইয়াং ওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংও বক্তব্য রাখেন।
ওয়েবিনারে মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য-প্রযুক্তি, বায়োটেক ও ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।