বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : মন্ত্রিসভায় শ্রম আইনের (সংশোধন) খসড়া অনুমোদন

131

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-মন্ত্রিসভা
মন্ত্রিসভায় শ্রম আইনের (সংশোধন) খসড়া অনুমোদন

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ২০০৬ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে এটির অনেক বড় সংশোধন হয়।’
সংশোধিত আইনের খসড়া অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এবং সুযোগ সুবিধাদি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং কোন শ্রমিককে আহার ও বিশ্রামের বিরতি ব্যতিত ১০ঘন্টার অধিক কাজ করানো যাবে না।
যদিও এই সংশোধিত আইনের খসড়া অনুযায়ী সরকার বিশেষায়িত শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের কাজের সময় পরিবর্তন করতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই খসড়া অনুযায়ী শ্রমিকদের উৎসব ভাতা প্রদান করা ও নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ৮ সপ্তাহ ছুটি প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করার তিন দিনের মধ্যে তাঁরা এই ছুটি এবং অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন।
তাছাড়া, সন্তান সম্ভবা মা’কে মাতৃত্বকালীন ছুটি বঞ্চিত করলে মালিক পক্ষকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডের সম্মুখীন করা হতে পারে বলেও তিনি জানান।
সচিব বলেন, কোনো কারখানায় ২৫ জনের বেশি শ্রমিক থাকলে তাদের জন্য পানির ব্যবস্থাসহ খাবার কক্ষ রাখতে হবে, সেখানে বিশ্রামেরও ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শফিউল জানান, শ্রমিকরা ইচ্ছা করলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করে পারে তা উৎসব ছুটির সঙ্গে ভোগ করতে পারবেন। উৎসবের ছুটিতে কাজ করালে এক দিনের বিকল্প ছুটিসহ দুই দিনের ক্ষতিপূরণ মজুরি দিতে হবে।
কোন শিশু-কিশোর বা প্রতিবন্ধী শ্রমিককে বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লাগানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অপ্রাপ্ত বয়স্ক’ শব্দটি শ্রম আইন থেকে বাদ দিয়ে সেখানে ‘কিশোর’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। আগে ১২ বছর বয়সী শিশুরা কারখানায় হালকা কাজের সুযোগ পেত। সংশোধিত আইন অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী সরকার শ্রম সংগঠনগুলোর রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি আদর্শ কার্যপ্রণালী পদ্ধতি (এসওপি) প্রস্তুত করবে। নির্দিষ্ট ফর্মে রেজিস্ট্রেশনের জন্য শ্রম সংগঠনগুলোর আবেদনের শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মাধ্যমে তা ৫৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে।
একটি শিল্প কারখানার একজন শ্রমিক কেবল একটি ট্রেড ইউনিয়নেরই সদস্য হতে পারবেন। একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হলে এক মাসের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন আইনে প্রধান পরিদর্শকের পদকে হালনাগাদ করে মহাপরিদর্শক এবং উপ-প্রধান পরিদর্শকের পদকে অতিরিক্ত প্রধান পরিদর্শক করা হয়েছে। এছাড়া যুগ্ম-মহাপরিদর্শক, উপ-মহাপরিদর্শক এবং সহকারি মহাপরিদর্শক ছাড়াও বেশি কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
বাসস/এএসজি-একেএইচ/অনুব-এফএন/১৮০৬/-আসচৌ