বাসস ক্রীড়া-৬ : রিয়াল ছাড়ছেন রামোস

99

বাসস ক্রীড়া-৬
ফুটবল-রামোস
রিয়াল ছাড়ছেন রামোস
মাদ্রিদ, ১৭ জুন ২০২১ (বাসস) : গুঞ্জনটা ছিল আগে থেকেই, গতকাল তা নিশ্চিত করা হলো। ১৬ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে অবশেষে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যাচ্ছেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস, লা লিগা ক্লাব সূত্র বুধবার এই ঘোষনা দিয়েছে।
ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের উপস্থিতিতে আজ এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে রামোসকে বিদায় জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রিয়াল। একইসাথে দুর্দান্ত এই ডিফেন্ডারের প্রতি বিদায়ী কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হবে।
ইনজুরির কারনে এবারের মৌসুমটা মোটেই ভাল কাটেনি ৩৫ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। এ বছর শুরু হবার পর মাত্র পাঁচটি ম্যাচে খেলেছেন রামোস। ১৬ বছরের মাদ্রিদ ক্যারিয়ারে এবারই সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে সবচেয়ে কম ২১টি ম্যাচ খেলেছেন। সব মিলিয়ে ৬৭১ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ১০১টি। সেভিয়া থেকে ২৭ মিলিয়ন ইউরোতে ২০০৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন রামোস। পেরেজের প্রথম মেয়াদের সভাপতিত্বে দলে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র রামোসই এখন পর্যন্ত টিকে রয়েছেন।
মাদ্রিদের ক্লাব ইতিহাসে অন্যতম সফল খেলোয়াড় হিসেবে রামোসকে বিবেচনা করা হয়। গ্যালাকটিকোদের হয়ে পাঁচটি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি কোপা ডেল রে জয় করেছেন।
এবারের মৌসুমে রামোস ডান থাই, বাম কাফ ও সাম্প্রতিক বাম উরুর ইনজুরি ছাড়াও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারেননি। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে লা লিগা মৌসুমের শেষ ম্যাচে তিনি দলে থাকলেও মাঠে নামেননি।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের সূত্রমতে রিয়াল ও রামোস চুক্তি সংক্রান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি বলে ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। কোভিড মহামারীর কারনে ১০ শতাংশ বেতন কর্তন করে আরো এক বছরের জন্য চুক্তি বাড়াতে চাইলেও রামোস চাইছিল দুই বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করতে।
চলমান ইউরো ২০২০’এ স্প্যানিশ দল থেকেও বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। রামোসের বাদ পড়ার অর্থ হচ্ছে বর্তমান স্প্যানিশ দলটিতে মাদ্রিদের কোন খেলোয়াড়ই নেই।
স্প্যানিশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ ১৮০টি ম্যাচ খেলে ২৩টি গোল করেছেন রামোস। চারটি বিশ্বকাপ ও তিনটি ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে তিনি স্পেনকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ও ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো বিজয়ী দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন রামোস।
বাসস/নীহা/১৪২৯/স্বব