অনলাইন ভ্যাট রিটার্ন দাখিলে টানা দশবার চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

185

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৭ জুন, ২০২১ (বাসস) : অনলাইন ভ্যাট রিটার্ন দাখিলে দেশে ১২টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে টানা দশম বার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। প্রথমে হ্যাটট্রিক, তারপর ডাবল হ্যাটট্রিক, এরপর ট্রিপল হ্যাটট্রিক। আর এবার যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে গেল কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেট। জানা যায়, মে মাসে ৮৮.৫৬ শতাংশ রিটার্ন অনলাইনে জমা করেছে কুমিল্লার ভ্যাটদাতাগণ। কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বাসসকে জানান, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা নিয়ে গঠিত। গত মাসে নানা প্রতিকূলতা থাকা স্বত্ত্বেও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তহিক ছুটি বাতিল করে অনলাইন রিটার্ন দাখিলের কাজ অগ্রাধিকার দেন। যাতে কুমিল্লা ভ্যাট টিম দশমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে পারে।
টানা ১০ বার প্রথম হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কুমিল্লা সদর দপ্তরের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিপন বাসসকে বলেন, মহামারি আছে, থাকছে। দেশের অর্থনীতির ভীতও দুর্বল হতে দেয়া যাবে না। টানা লকডাউনেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। দলবদ্ধ প্রচেষ্টা ও প্রতিযোগিতা এ অভূতপূর্ব সাফল্যের মূল নিয়ামক। কুমিল্লা কমিশনারেটের নেয়া ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কুমিল্লাকে সেরার আসন ধরে রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। কুমিল্লার এ স্পন্দন অন্যান্য কমিশনারেটগুলোর মধ্যে তৈরি করেছে নতুন উদ্দীপনা। ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামগ্রিক রিটার্ন পেশের হার বাড়ছে। পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জুলাই ২০২০ মাসের অনলাইন রিটার্ন দাখিল হার ছিল ২৫.১৮শতাংশ, যা বর্তমানে এপ্রিল ২০২১ মাসে দাঁড়ায় ৪২.৪৮ শতাংশ। অন্যান্য কমিশনারেট গুলোর মধ্যেও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ঢাকা (উত্তর), ঢাকা (দক্ষিণ), ঢাকা (পূর্ব) ও ঢাকা (পশ্চিম)-এর রিটার্ন দাখিলের হার ক্রমান্বয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কুমিল্লা কমিশনারেটের আগস্ট মাসের রিটার্ন দাখিলের হার ৯১.১৮ শতাংশ, সেপ্টেম্বর মাসে ৯৩.৮৭ শতাংশ, অক্টোবর মাসে ৯৪.১৬ শতাংশ, নভেম্বর মাসে ৯৩.৮০ শতাংশ, ডিসেম্বর মাসে ৯৪.৯৯ শতাংশ, জানুয়ারি মাসে ৯৭.০৯ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৭.২৮ শতাংশ, মার্চ মাসে ৯৫.৪৭ শতাংশ , এপ্রিল মাসে ৯৬.০৮ শতাংশ ও মে মাসে ৮৮.৫৬ শতাংশ।