বাসস দেশ-৩৯ : চট্টগ্রামে অবৈধভাবে ৫৫ হাজার ৩শ’ জনকে ভোটার করার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

107

বাসস দেশ-৩৯
অবৈধ ভোটার-দুদকের মামলা
চট্টগ্রামে অবৈধভাবে ৫৫ হাজার ৩শ’ জনকে ভোটার করার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রাম, ১৬ জুন ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের ল্যাপটপ আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে ভোটার করার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার খোরশেদ আলমসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুপুরে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক-২ শরীফ উদ্দিন। মামলার আসামিরা হলেন সাবেক চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক খোরদেশ আলম, জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তাফা ফারুক।
মামলা সুত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের ল্যাপটপ আত্মসাৎ করে ২০১৫ সালে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাসহ মোট ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন অভিযুক্তরা । তারা মূলত একে অপরের যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে ভুয়া পরিচয়, নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে দ-বিধি’র ২০১/৪০৯/১০৯ ধারা সহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয় মামলায়।
দুদক সূত্র জানায়, মিরসরাই উপজেলায় ব্যবহার করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া ২১ অক্টোবর ২০১৫ সালে পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তাফা ফারুককে একটি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মালামাল হস্তান্তর করেন। তিনি এসব মালামাল গ্রহণ করে মিরসরাইয়ে নিয়ে যান। পরবর্তীতে এসব মালামাল ফেরত আসার কথা অফিসিয়ালি স্বীকারও করা হয়। তবে ল্যাপটপটি হালনাগাদে বিভিন্ন উপজেলায় ব্যবহৃত হয়েছে মর্মে বলা হলেও ল্যাপটপটির সর্বশেষ অবস্থান সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসকে রাসেল বড়ুয়া ও মাহফুজুল ইসলাম হদিস দিতে পারেননি। মূলত এই ল্যাপটপ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অর্ন্তভূক্ত করেন।
পরবর্তীতে ল্যাপটপের সন্ধানে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণসহ তদন্ত হলেও তৎকালীন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণ কাজে এবং জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরিকরণে ব্যবহৃত বিশেষায়িত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত ল্যাপটপটি উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমনকি উক্ত বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে না এনে তিনি দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ল্যাপটপটি গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি না করে তার উপর অর্পিত ক্ষমতার
অপব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে একে অপরের সহযোগিতায় ল্যাপটপটি আত্মসাত করেছেন। পরবর্তীতে আত্মসাতকৃত উক্ত ল্যাপটপসহ কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাসহ মোট ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।
বাসস/জিই/কেএস/১৯৪০/কেকে