বাসস ক্রীড়া-১২ : সুপার লিগ নিশ্চিত করলো প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান, আশায় শেখ জামাল

102

বাসস ক্রীড়া-১২
ক্রিকেট-ডিপিএল
সুপার লিগ নিশ্চিত করলো প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান, আশায় শেখ জামাল
ঢাকা, ১৬ জুন ২০২১ (বাসস) : দশম রাউন্ডের ম্যাচ জিতে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের সুপার লিগ নিশ্চিত করলো প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
আজ প্রাইম ব্যাংক বৃষ্টি আইনে ৬ উইকেটে হারায় ব্রাদার্সকে। আর সুপার ওভারে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে হারিয়েছে মোহামেডান। ওল্ড ডিওএইচএসকে ১৬ রানে হারিয়ে সুপার লিগের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
প্রাইম ব্যাংক-ব্রাদার্স :
দু’দফা বৃষ্টির কারনে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রাইম ব্যাংক ও ব্রাদার্সের ম্যাচটি ১২ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। সেখানে আগে ব্যাট করে বড় স্কোর করতে পারেনি ব্রাদার্স। ৩ উইকেটে ৭৪ রান তুলে তারা। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ওয়ানডে মেজাজে খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। ২৮ বল খেলে ২টি চার মারেন তিনি।
এছাড়া অধিনায়ক মিজানুর রহমান ১০ বলে ১৩, মাইশুকুর রহমান ১২ বলে অপরাজিত ১৫ ও আলাউদ্দিন বাবু ৫ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের শরিফুল ইসলাম ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন।
ম্যাচ জিততে বৃষ্টি আইনে ১২ ওভারে ৮৪ রানের টার্গেট পায় প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার রনি তালুকদার খালি হাতে ফিরলেও, তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক এনামুল হক দ্রুত রান তুলেছেন। তবে ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ৮ বল খেলে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন এনামুল।
চতুর্থ উইকেটে ৩৭ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়ে প্রাইম ব্যাংকের জয়ের পথ সহজ করে দেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুন। তামিম ২৬ বলে ২৯ ও মিঠুন ২২ বলে ২৮ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকী রেখে প্রাইম ব্যাংকের জয় নিশ্চিত করেন রুবেল মিঞা ও অলক কাপালি। রুবেল ৪ ও কাপালি ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ব্রাদার্সের বাবু ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৪ রানও করেছেন তিনি। তাই ম্যাচ সেরাও হয়েছেন বাবু।
এই জয়ে ১০ খেলা শেষে ১৬ পয়েন্ট প্রাইম ব্যাংকের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ব্র্রাদার্সের। এই অবস্থাতেও সুপার লিগে খেলার আশা বেঁচে আছে ব্রাদার্সের।
মোহামেডান-খেলাঘর :
বৃষ্টির কারনে মোহামেডান ও খেলাঘরের খেলার দৈর্ঘ্যও কমেছে। ১০ ওভারে নির্ধারিত হয় ম্যাচটি। সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে মোহামেডান।
ওপেনার আব্দুল মজিদের বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে ১০ ওভারে ৯ উইকেটে ৮৮ রান করে সাকিব আল হাসানবিহীন মোহামেডান। মাজিদ বাদে আর কোন ব্যাটসম্যানই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। এক প্রান্ত আগলে ৩০ বলে ৫৭ রান করেছেন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান মাজিদ। ৪৭ মিনিট ক্রিজে থেকে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন তিনি। খেলাঘরের ডান-হাতি পেসার ইরফান হোসেন ৯ রানে ৪ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৮৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় খেলাঘর। দ্রুত রান তুলেছেন অধিনায়ক জহিরুল ইসলাম। ১৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ রান করেন জহিরুল। মিডল-অর্ডারে মেহেদি হাসান মিরাজ ১৪ ও শাহরিয়ার কমল ৪ রান করে ফিরেন।
তবে একপ্রান্ত আগলে খেলাঘরের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মাসুম খান। মিরাজ যখন বিদায় নেন তখন জিততে ১৭ বলে ২৪ রান দরকার ছিলো খেলাঘরের। এই প্রয়োজন মেটাতে না পারলেও, মোহামেডানের সমান স্কোরে ইনিংস শেষ হয় খেলাঘরের। এতে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। ১৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৩ রান করেন মাসুম।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ১ উইকেটে ১৩ রান করে খেলাঘর। জবাবে শেষ বলে ১ রান নিয়ে জয়ের স্বাদ পায় মোহামেডান।
এই জয়ে ১০ খেলা শেষে ১৩ পয়েন্ট মোহামেডানের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট খেলাঘরের।
শেখ জামাল-ওল্ড ডিওএইচএস :
সাভারের তিন নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে শেখ জামাল। ১৩ ওভারে নির্ধারিত ম্যাচে বড় স্কোরই করে শেখ জামাল। ৮ উইকেটে ১২০ রান তুলে তারা।
দুই ওপেনার সৈকত আলি ২৩ বলে ৩৭ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ২২ বলে ২৬ রান করেন। সৈকত ২টি চার ও ৩টি ছক্কা হাকান। অ্যাশের ব্যাট থেকে আসে ২টি করে চার ও ছয়।
এছাড়াও জিয়াউর রহমান ৭ বলে ১২, ইমরুল কায়েস ৯ বলে ১১ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান ৬ বলে ১১ রান করেন। ওল্ড ডিওএইচএসের ২৩ বছর বয়সী অকেশনাল মিডিয়াম পেসার আনিসুল ইসলাম ইমন ২ ওভারে ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১২১ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে পারেনি ওল্ড ডিওএইচএস। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে ব্যর্থ হলে ১৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৪ রান করে তারা। রায়ান রহমান ৩৬ ও মাহমুদুল হাসান জয় ৩৩ রান করেন। শেখ জামালের এবাদত হোসেন-সালাউদ্দিন সাকিল ও জিয়াউর ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন জিয়াউর।
১০ খেলা শেষে ১২ পয়েন্ট শেখ জামালের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৫ পয়েন্ট ওল্ড ডিওএইচএসের।
বাসস/এএমটি/১৭৪০/স্বব