বাসস সংসদ-৪ : করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে এ বাজেট নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে : সরকারি দল

1803

বাসস সংসদ-৪
বাজেট-আলোচনা-সংসদ
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে এ বাজেট নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে : সরকারি দল
ঢাকা, ১৬ জুন, ২০২১(বাসস) : জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা করোনাকালে দেয়া বাজেটকে সাহসী উদ্যোগ উল্লেখ করে আজ বলেছেন, এ বাজেট বৈশ্বিক মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে।
গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। আজ বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে গত ৭ জুন সংসদে চলতি অর্থ বছরের সম্পুরক বাজেট পাস করা হয়।
আজ বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ,কে, এম এনামুল হক শামীম, সরকারি দলের রমেশ চন্দ্র সেন, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, মো. নাসির উদ্দিন, তানভির ইমাম, আহসানুল ইসলাম টিটো, ইকবাল হোসেন অপু, এস এম শাহজাদা, নেসার আহমেদ, খাদিজা ইয়াসমিন, নাহিদ এজাহার খান, জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, পীর ফজলুর রহমান এবং বিএনপি’র মোশাররফ হোসেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতির কথা বিবেচনায় রেখে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়েই বাস্তব সম্মত,সময়োপযোগী এবং বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট দেয়া হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান সরকার সূচিত গত এক যুগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।
তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারির সংক্রমণের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষের ফলে সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। তার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী পদক্ষেপে দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকন্ড সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
তারা বলেন, তাঁর সাহসী পদক্ষেপ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
তারা বলেন, করোনাকালে বিশ্বের প্রায় সব দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। আর বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত আর্থ-সামাজিক অবস্থার পুনরুদ্ধারে ২৩টি খাতে প্রনোদনা প্রদান করার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে গত এক যুগে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। দেশের জিডিপির আকার বেড়ে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের দ্বিগুণ। আর ভারতের চেয়ে বেশী।
তারা বলেন, তবে এ বাজেট বাস্তবায়নে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে কর আহরনে সংস্কার করে জিডিপির অনুপাতে কর আদায় বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমানে কর আদায়ের অনুপাত মাত্র ৯ শতাংশ। এশিয়ার অন্যান্য দেশে গড় অনুপাত ১৫ শতাংশ। ফলে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।
বাসস/এমআর/১৬২০/-আসাচৌ