বাসস দেশ-৫ : শেরপুরে ২৫টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন জমিসহ সেমি পাকা ঘর

90

বাসস দেশ-৫
ঘর পাচ্ছেন ২৫ পরিবার
শেরপুরে ২৫টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন জমিসহ সেমি পাকা ঘর
শেরপুর, ১৫ জুন, ২০২১ (বাসস) : মুজিব বর্ষ উপলক্ষে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ২৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া বাড়ি। ২০ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি সংযুক্ত হতে যাচ্ছে এ উপজেলার হলদিগ্রাম এলাকায় সরকারি খাস জমিতে নির্মিত ঘরের উপকারভোগীরা। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এসব ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে। সম্প্রতি শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব প্রকল্প স্থান পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে নতুন ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে দেয়া হচ্ছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, দিনমজুর, বিধবসহা, ২৫টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন জমিসহ সেমি পাকা ঘর। এর আগে এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে এ উপজেলায় উপহার পেয়েছে ৫০টি ভূমিহীন পরিবার। উপকারভোগীরা পাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমির মালিকানা। সেই সাথে দুই কক্ষবিশিষ্ট নির্দিষ্ট ডিজাইন ও সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি। এতে থাকছে বারান্দা, রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের তত্ত্বাবধানে নলকুড়া ইউনিয়নের হলদিগ্রামে সরকারি খাস জমিতে নির্মিত প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। জনপ্রতিনিধি, ভূমি এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমন্বয়ে তৈরি করা এসব ঘর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা ভূমি এবং গৃহহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়ার কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রতি পরিবারের জন্য দুই শতক জমির ওপর দুটি চৌচালা বিশিষ্ট রঙিন ঢেউ টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরটিতে দুটি করে জানালা ও দরজা, ইটের দেয়াল এবং পাকা মেঝে রয়েছে। এ ছাড়া বারান্দা এবং রান্না ঘর ও টয়লেট সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির সুব্যবস্থা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বাসসকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় পরিবারের জন্য উপহার স্বরূপ এসব স্বপ্ননীড় তৈরি করে দিচ্ছেন। সরকারের এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং কোনো মানুষ যেন বাসগৃহ ছাড়া না থাকেন। ২০জুন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উপহার স্বরূপ দ্বিতীয় ধাপের বাসগৃহের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১২৩০/নূসী