বাজিস-২ : বরগুনায় আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না

150

বাজিস-২
বরগুনা-ইলিশ
বরগুনায় আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না
বরগুনা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বৈশাখ মাস থেকে শুরু হওয়া ইলিশের মৌসুম এ ভাদ্রে প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেও বঙ্গোপসাগরে খুব একটা দেখা মিলছে না রূপালি ইলিশের। মাছ না পাওয়ায় আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছেন বরগুনার প্রায় ১ লাখ পেশাজীবী জেলে।
দেশের দ্বিতীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার নোঙর করে আছে। জেলে ও বিএফডিসি ঘাটের শ্রমিকরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। বিএফডিসিতে এখন বরাবরের মতো দশ ভাগের এক ভাগও ইলিশ কেনা-বেচা নেই। আড়তদাররাও অলস সময় পার করছেন আড়তে।
বিএফডিসি ঘাটের মৎস্য ব্যাবসায়ী নজরুল ইসলাম, শহিদ মোল্ল¬া, শাহিন জানিয়েছেন, প্রতি বছর এ সময় ঘাটে ইলিশ বোঝাই ট্রলার আসত। এ বছর তেমন ইলিশের দেখা নেই বললেই চলে।
জেলে মনির, হানিফা, রিপন, কালাম খান, বেল¬াল, সিদ্দিক মল্লি¬ক জানান, জৈষ্ঠ থেকে ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু মৌসুমের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। সারাদিন জাল বেয়ে খরচের টাকা উঠছে না।
নদীতে জাল ফেলা জেলেরা জানিয়েছেন, বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে জাল ফেলে যা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তা স্থানীয় বাজারের চাহিদাও মেটাতে পারছেন।
আমতলী শহরের মাছ বিক্রেতা জাকির হোসেন জানিয়েছেন, মাছের আমদানি কম। জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫শ’ টাকা দরে। ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের দর প্রতি কেজি ১২শ’ টাকা।
পাথরঘাটা বিএফডিসি ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট এম রুহুল আমিন জানিয়েছেন, ইলিশের মোকাম খ্যাত পাথরঘাটা উপজেলাতে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার। অনিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১৯ হাজারেরও বেশি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ মাছের উৎপাদন কম। গত এক সপ্তাহে ১৭৩ টন ইলিশ বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কয়েকগুন কম।
জেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইলিশ মাছ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। এ বছর কম বৃষ্টি থাকায় মিঠা পানি না পাওয়ায় ইলিশের উৎপাদন কম হতে পারে।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১৩১৫/-নূসী