বাসস ক্রীড়া-১২ : করোনার সংক্রমণ নিয়ে শংকিত আর্জেন্টাইন সুপার স্টার মেসি

106

বাসস ক্রীড়া-১২
ফুটবল-কোপা আমেরিকা-মেসি-করোনা
করোনার সংক্রমণ নিয়ে শংকিত আর্জেন্টাইন সুপার স্টার মেসি
রিও ডি জেনেইরো, ১৪ জুন, ২০২১ (বাসস): কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার বার্সেলোনা সুপার স্টার লিওনেল মেসি। কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহনের আগেই বেশ কয়েকটি দলের খেলোয়াড়ের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমনের ঘটনায় এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন ৬ বারের ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ী এই তারকা।
রোববার ব্রাজিলে কোপা’র উদ্বোধনের আগেই বলিভিয়া, কলম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার দেহে করোনার সংক্রমন ধরা পড়ে। এতে নিজ দল আর্জেন্টিনাসহ অন্য ফুটবরারদের মধ্যেও এর সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার আশংকা প্রকাশ করেন মেসি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন,‘ আমাদের ভয় হল কোভিড-১৯ আমাদের সবাইকে গ্রাস করার ঝুঁকি রয়েছে। আমরা সতর্ক থাকার চেস্টা করব। কিন্তু বিষয়টি খুব একটা সহজ হবে না। এটির সংক্রমন ঘটতে পারে। আমরা সাধ্যমত সব ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করব। কিন্তু সব সময় এর দ্বারা এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা যায় না।’
করোনা টিকায় আস্থা রাখেন না মেসি। যদিও দক্ষিন আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন এপ্রিলেই বলেছিল তারা এর টিকা পেয়েছেন এবং কোপা আমেরিকা মাঠে গড়ানোর আগেই সব আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের এর আওতায় আনা হবে।
এই বছরের কোপা আমেরিকা আয়োজনের কথা ছিল যৌথভাবে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। কিন্তু কলম্বিয়ায় করোনা এবং অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আর্জেন্টিনায় অতিমারির সংক্রমন বাড়তে থাকায় শেষ মিনিটে টুর্নামেন্টটি সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। যুক্তরাস্ট্রের পর বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় করোনায় সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড হওয়া ব্রাজিলেই স্থানান্তরিত হয় ১০ দলের অংশগ্রহনে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট।
যদিও আয়োজকরা বলেছেন, তারা কঠোর বিধিনিষেধ পালন করবে। কিন্তু টুর্নামেন্ট খেলতে মাঠে নামার আগেই ভেনেজুয়েলার আটজন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ হয়। ওই আটজন খেলোয়াড়কে বাইরে রেখে স্বাগতিক ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়ে ০-৩ গোলে পরাজিত হয় ভেনেজুয়েলা। কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় আরেক দেশ বলিভিয়া হারিয়েছে তাদের তিনজন খেলোয়াড়কে।
দুই বছর আগে এই টুর্নামেন্টের বিতর্কিত সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের কাছেই হেরেই বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসি বলেন,‘ আমার মনে হয় কোপা আমেরিকা ঘরে তোলার সময় এসেছে। আমার বড় স্বপ্ন হচ্ছে জাতীয় দলের হয়ে এই শিরোপাটি জয় করা। অনেকবার আমি শিরোপার বেশ কাছে পৌঁছেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শিরোপা স্বাদ গ্রহন করা হয়নি। যতটুকু সম্ভব এবার আমি এগিয়ে যাবার চেস্টা করব।
ক্লাব ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রায় সব কিছু জয় করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এখন জাতীয় দলের হয়ে অর্জন করতে পারলে দারুন হবে।’
বাসস/ওয়েবসাইট/এমএইচসি/১৭৩০/-স্বব