ডিপিএল: জয়ের ধারায় প্রাইম ব্যাংক, টানা দ্বিতীয় জয় প্রাইম দোলেশ্বরের

236

ঢাকা, ১৪ জুন ২০২১ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ের ধারায় ফিরলো প্রাইম ব্যাংক। গতকাল আবাহনী লিমিটেডের কাছে হারের পর আজ নবম রাউন্ডের ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএসকে ২২ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
অন্য দিকে লিগে টানা দুই ম্যাচ হারের পর টানা দুই জয় তুলে নিলো প্রাইম দোলেশ্বর। নবম রাউন্ডের ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর ১৪ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জকে।
ডদনের আরেক ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে বৃষ্টি আইনে ১৫ রানে হারিয়েছে জয়ের ধারায় ফিরেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
প্রাইম ব্যাংক-ওল্ড ডিওএইচএস :
ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাটিংএর পর বোলারদের নৈপুন্যে জয়ের স্বাদ পায় প্রাইম ব্যাংক। রান রেটে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে নবম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নামে প্রাইম ব্যাংক।
সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে ওল্ড ডিওএইচএস। রনি ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রাখলেও অন্যান্যরা ছিলেন ব্যর্থ। তাই ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ বলে ৫১ রান যোগ করেন রনি। আগের ম্যাচের হাফ-সেঞ্চুরিয়ান তামিম ২৮ বলে ২৫ রান করেন। তবে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রনি। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন। ওল্ড ডিওএইচএসের রাকিবুল হাসান ১৪ রানে ২ উইকেট নেন।
প্রাইম ব্যাংকের বাঁ-হাতি স্পিনার মনির হোসেনের ঘুর্ণিতে ১৪৮ রানের জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি ওল্ড ডিওএইচএসের। ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয় ও রায়হান রহমান। তবে দু’জনের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জয় ২৬ ও রায়হান ২১ রান করেন।
যাওয়া-আসার মিছিলে ২০ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয় ওল্ড ডিওএইচএস। প্রাইম ব্যাংকের শরিফুল ইসলাম ৩টি, মনির-অলক কাপালি ও নাহিদুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন রনি।
এই জয়ে ৯ খেলা শেষে ১৪ পয়েন্ট প্রাইম ব্যাংকের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৫ পয়েন্ট ওল্ড ডিওএইচএসের।
প্রাইম দোলেশ্বর-লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ :
ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও, বোলারদের নৈপুন্যে ছোট পুঁিজ নিয়ে জয় পায় প্রাইম দোলেশ্বর। সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে রুপগঞ্জ। পেসার মোহাম্মদ শহিদ ও স্পিনার নাবিল সামাদের বোলিং নৈপুন্যে ১১৮ রানে অলআউট হয় প্রাইম দোলেশ্বর। ফজলে মাহমুদের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে। শহিদ ৩টি ও নাবিল ২টি উইকেট নেন।
১১৯ রানের ছোট টার্গেট স্পর্শ করতে পারেনি রুপগঞ্জ। প্রাইম দোলেশ্বরের বোলারদের টাইট বোলিংএ ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানের বেশি করতে পারেনি রুপগঞ্জ। আল-আমিন ৩০ ও আজমির আহমেদ ২৩ রান করেন। শেষদিকে ১৩ বলে ঝড়ো গতিতে ২১ রান করে দলের হারের ব্যবধান কমিয়েছেন শহিদ। প্রাইম দোলেশ্বরের কামরুল ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন।
এই জয়ে ৯ খেলা শেষে ১৩ পয়েন্ট প্রাইম দোলেশ্বরের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৫ পয়েন্ট রুপগঞ্জের।
শাইনপুকুর-খেলাঘর :
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে শাইনপুকুরকে ব্যাটিংএ পাঠায় খেলাঘর। ব্যাট হাতে নেমে হাফ-সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে থামেন সাজ্জাদুল হক ও অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৮ রান করেন সাজ্জাদুল। ৫টি চারে ৪২ বলে ৪৬ রান করেন হৃদয়। ফলে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রানের সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর। খেলাঘরের পেসার খালেদ আহমেদ ২০ রানে ৩ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৫৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭৯ রান করে খেলাঘর। এরপর বৃষ্টির কারনে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থকলে, বৃষ্টি আইনে নতুন টার্গেট পায় খেলাঘর। ১৬ ওভারে ১২৬ রানের টার্গেট পায় খেলাঘর।
তাতে ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে ১১০ রান করে ম্যাচ হারে খেলাঘর। সাদিকুর রহমান ৩১ ও অধিনায়ক জহিরুল ইসলাম ২৭ রান করেন। শাইনপুকুরের তানভির ইসলাম ও মোহর শেখ ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন সাজ্জাদুল।
এই জয়ে ৯ খেলা শেষে ৬ পয়েন্ট শাইনপুকুরের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট খেলাঘরের।