বাসস দেশ-৪৯ : পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং চুক্তি স্বাক্ষর

165

বাসস দেশ-৪৯
পায়রা বন্দর-রাবনাবাদ-ড্রেজিং চুক্তি
পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ১৩ জুন, ২০২১ (বাসস) : পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ের জন্য আজ রোববার রাজধানীর এক হোটেলে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর হুমায়ুন কল্লোল এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানী জান ডি নুল এর প্রকল্প পরিচালক জান মোয়েন্স ।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সাহস আছে, সম্পদ আছে, শুধু শক্তি ও সততার নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং এর জন্য চুক্তি স্বাক্ষরে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর আজ নতুন মাত্রায় উপণীত হতে চলেছে। তাঁর গভীর দূরদৃষ্টি ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের দ্বারা আজ পায়রা বন্দরের তথা দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে এক মাইলফলক রচিত হতে যাচ্ছে যার সুফল বাঙালি জাতি বহুযুগ ধরে ভোগ করবে।
ড্রেজিং প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪,৯৫০ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৯ সালে একই কোম্পানীর সাথে চুক্তিপত্রে পিপিপি’র আওতায় এ ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০,৫৫৯ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দেশপ্রেমের কারণে চুক্তির অর্থায়নে ধরন পরিবর্তন করে নিজস্ব অর্থায়নে সম্পাদন করার সিদ্ধান্তে ৫,৬০৯ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’ এর প্রথম গ্রাহক পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চ্যানেলটির ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার প্রশস্থ এবং ১০.৫ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে। এতে করে পায়রা বন্দরে ৪০,০০০ টনের জাহাজ ভিড়ানোর সক্ষমতা তৈরি হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডোর হুমায়ুন কল্লোল এবং জান ডি নুল এর প্রকল্প পরিচালক বক্তব্য রাখেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) দূরদর্শি সিদ্ধান্তে আজ দেশ উন্নয়নের শিখরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ¥া সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সাহস আছে, সম্পদ আছে, শুধু শক্তি ও সততার নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তিনি পায়রা বন্দর পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং এর জন্য চুক্তি স্বাক্ষরে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্র খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার ফলে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর আজ নতুন মাত্রায় উপণীত হতে চলেছে। তাঁর গভীর দূরদৃষ্টি ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের দ্বারা আজ পায়রা বন্দরের তথা দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে এক মাইলফলক রচিত হতে যাচ্ছে যার সুফল বাঙালি জাতি বহুযুগ ধরে ভোগ করবে।
জাতির পিতার সুযোগ্যা কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্র েেশখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকান্ড গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী সহ¯্রাব্দের মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করেছেন। যেখানে তার সুদূরপ্রসারী ভিশন প্রতিফলিত হয়েছে। পায়রা বন্দরকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ইতোমধ্যে এই বন্দরে ১৩৪ টি সমুদ্রগামী জাহাজ আগমন করেছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর ও পায়রা বন্দর আমরা আগের চেয়েও বেশি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এই বন্দর হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল স্থানে দ্রুততম সময়ে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানেও বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। ফলে আমদানী-রপ্তানী পণ্যের পরিবহন ব্যয় কমে আসবে, শিল্পকারখানার কাঁচামালের দাম কমবে, দেশের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজার আরো প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে এবং ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যাপক জোয়ার আসবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক গতিসঞ্চার হবে।
বাসস/সবি/কেএকে/২২১৫/স্বব