বাসস দেশ-৬
চট্টগ্রাম-কোভিড
চট্টগ্রামে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম, ১১ জুন, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১২৯ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সুস্থতা লাভ করেন ৫০৩ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ১২৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৮ জন ও আট উপজেলার ৪১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাঙ্গুনিয়ায় ১২ জন, হাটহাজারীতে ৮ জন, মিরসরাইয়ে ৭ জন, ফটিকছড়িতে ৬ জন, সীতাকু-ে ৫ জন এবং সন্দ্বীপ, রাউজান ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৪ হাজার ৫৮২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৩ হাজার ২৫৩ জন ও গ্রামের ১১ হাজার ৩২৯ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত নগরীর ২ জন এবং গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়। এদের দু’জন নারী ও একজন পুরুষ। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৬৩৮ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৫৩ জন ও গ্রামের ১৮৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫০৩ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ১১৩ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ২৯ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩৯ হাজার ৮৪ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১০৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৫ জন ও গ্রামের ৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮ জন ও গ্রামের ২৩ জন ভাইরাসবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৬৪ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪ টিসহ ৩৪ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১৯ টি নমুনায় রাঙ্গুনিয়ার দু’টিসহ ৮ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৫৮ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৯ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৫ টি নমুনায় হাটহাজারীর একটিসহ ৮ টি, মেডিকেল সেন্টারে ২৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪ টি এবং এপিকে ৩১ টি নমুনায় সীতাকু-ের একটিসহ ১০ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রামের ৩ জনের নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তিনটিরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
তবে এদিন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, চবি’তে ১৬ দশমিক ৪০, চমেকে ২০ দশমিক ৭৩, আরটিআরএলে ৪২ দশমিক ১০, শেভরনে ৫ দশমিক ৬৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৩৬, মেডিকেল সেন্টারে ১৬ দশমিক ৬৬, এপিকে ৩২ দশমিক ২৬ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০ দশমিক ৯৩ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১২৪৫/এমএবি