বাসস দেশ-৮ : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মর্যাদা রক্ষা করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে : সেতুমন্ত্রী

182

বাসস দেশ-৮
কাদের-জন্মাষ্টমী
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মর্যাদা রক্ষা করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে : সেতুমন্ত্রী
ঢাকা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিতে পরাজিত করতে হবে।
বর্তমান সরকারকে সনাতন ধর্মাবলম্বী বান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আপনাদের আপনজন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর এখন আপনাদের আপনজন হলেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পলাশী মোড়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল পূর্ব সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে মিছিলের উদ্ধোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাজী মো. সেলিম এমপি, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সন্তোষ কুমার শর্মা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ক্ষমতায় এলে দেশে অন্ধকার নেমে আসে। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত হয়, তাদের ঘরবাড়ী ছাড়তে হয় ও নারীরা ধর্ষিত হয়।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আপনাদের ওপর তারা যে পাশবিক নির্যাতন ও হামলা করেছিল সে কথা আপনারা ভূলে যান নি। ওই অপশক্তি আবারো ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়াবহ সময় ফিরে আসবে।
কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে। আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিতে হবে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আগামী জাতীয় নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর আঘাত করে ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সুসম্পর্ক নষ্ঠ করার ষড়যন্ত্র করতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের সুসম্পর্কের জন্যই স্থল সীমান্ত চুক্তি ও সমুদ্র সীমা চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়েছে।
কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আপনজন আর কেউ নেই।
তিনি বলেন, দেশের যেমন প্রকাশ্য শত্রু রয়েছে, তেমনি গোপন শত্রুও রয়েছে। আর এই গোপন শত্রুকেই আমরা সবচেয়ে বেশি ভয় করি। তারা এখন পুরোপুরি তৎপর রয়েছে। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের গোপন শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাতীয় ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক মেরুকরনের চেষ্ঠা করছে। তাদের পাতানো ফঁদে আপনারা পা দেবেন না।
মন্ত্রী বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের রাজনীতি করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে তারাই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংশয় সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, ‘ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। জনগন উৎসব মুখর পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবে।’
কাদের বলেন, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বর্তমান জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন বসবে। এ অধিবেশনের পর বর্তমান সংসদের আর কোন অধিবেশন বসবে না। নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর মন্ত্রী ও এমপিরা কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবে না।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের সময় মন্ত্রী ও এমপিরা কোন সুযোগ সুবিধা পাবেন না এবং মন্ত্রীরা শুধু তাদের রুটিন ওয়ার্ক করবেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য মিছিল বের করা হয়। এ মিছিলটি পলাশী মোড়, জাতীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বঙ্গবাজার মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
বাসস/এএসজি/এমএএস/১৭২৫/-আসচৌ